1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন করবে ইউনেস্কোঃ নির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত কুলাউড়ায় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ১০০ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় নতুন ইউএনও হিসেবে যোগদান করলেন মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কুলাউড়ায় কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন ৮ মে ফ্রান্সে মাদারীপুর জেলা অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা ফ্রান্সের গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাইজিং স্টার ক্রিকেট ক্লাব ফ্রান্সের বর্ষপূর্তি ও জার্সি উন্মোচন ফ্রান্সে প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন মেহজাবিন

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কদমতলীতে বিষ খাইয়ে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মেহজাবিন ইসলাম মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। একাই খুনের দায় স্বীকার করেছেন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।

মেহজাবিনের দাবি, তার মা তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছেন। বোনকে দিয়েও মা দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন।

তিনি জানান, তার বাবা বিদেশে থাকায় মা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। মা পরকীয়ায়ও লিপ্ত ছিলেন।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মেহজাবিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেহজাবিন আরও জানান, তিনি (মেহজাবিন) মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। অথচ তার মা তাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছেন। বোনকে দিয়েও মা দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন। ছোট বোনকে রক্ষা করতে তিনি নিজের বাসায় রেখেছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাকে দেহব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়। সম্প্রতি বাবা দেশে ফিরলে তার কাছে তিনি নালিশ দেন। কিন্তু মায়ের কোনো বিচার করেননি বাবা। এতে প্রচণ্ড হতাশাবোধ থেকে তিনি একক পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, স্বামী দেশে না থাকায় মৌসুমী তার দুই মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করাতেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিলেন মেহজাবিন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তার বিয়ে হলে ছোট মেয়ে মোহিনীকে দিয়ে তিনি দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে শফিক ও মোহিনীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা সৌদি আরবে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেহজাবিন।

এদিকে রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে মেহজাবিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কদমতলী থানা পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করে।

শনিবার রাতে মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি ভাতিজি মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করেছেন। তবে মামলায় পরকীয়া এবং দেহব্যবসার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অচেতন অবস্থায় মেহজামিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys