নিউজ ডেস্ক: বাইকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে খুন হয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ফাহিমের মরদেহ তার বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়। হাত-পা ও মাথা তার শরীর থেকে আলাদা ছিল। আর তার মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে ইলেকট্রিক ‘স’।
পুলিশ জানিয়েছে, যে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, গত বছর দুই দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তা কিনেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ওয়েব ডেভেলপার।
যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন সিস্টেমে পড়াশোনা করেছেন ফাহিম। পরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বসবাস শুরু করেন। পাঠাওয়ের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়াতেও এমন আরো দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কম্পানির মালিক
নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র কার্লোস নিয়েভাস বলেছেন, শরীরের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে। তবে কিভাবে সেগুলো উদ্ধার হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
তবে তিনি বলেছেন, আমরা দেহ উদ্ধার করেছি। মাথা, হাত ও পা আলাদা করা ছিল। ঘটনাস্থলেই সব অঙ্গ পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যার রহস্য জানা যায়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ফাহিমের বোন ৯১১ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। একদিন পার হয়ে গেলেও ভাইয়ের দেখা না পেয়ে তিনি ৯১১ নম্বরে ফোন করেন।
পুলিশ মনে করছে, সিসিটিভি ক্যামেরার সূত্র ধরে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে। ভিডিওদে দেখা যায়, সোমবার এক ব্যক্তি স্যুট পরে, হাতে মোজা, মাথায় হ্যাট ও মুখে মাস্ক পরে অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করছেন।
পুলিশ বলছে, শিকার হাতের নাগালে আসতেই ওই লোক কাবু করে ফেলেছে। তার সঙ্গে স্যুটকেস ছিল। তিনি একেবারেই পেশাদার।
সূত্র : ডেইলি নিউজ