নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর মহাখালীতে চালু হলো দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। রবিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালটি উদ্বোধন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এই হাসপাতালটি আর্ম ফোর্সেস ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালটি পরিচালিত হবে। এখানে সার্বিক সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের ছয় তলা বিশিষ্ট এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু হলো। এতদিন মার্কেটটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে।
এর আগে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এই হাসপাতালে ১২শর বেশি শয্যা স্থাপনের সক্ষমতা আছে। তবে আজ থেকে আংশিকভাবে ২৫০ শয্যা চালু করা হবে। এর মধ্যে ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি শয্যা জরুরি রোগীদের জন্য এবং ১৫০টি সাধারণ শয্যা। সাধারণ শয্যা হলো কভিড আইসোলেশন রুম। এই রুমগুলোতে আপাতত একজন করে রোগী রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে ৫০০ শয্যা চালু করতে পারবো। বাকী শয্যাগুলো আশা করছি এ মাসের মধ্যেই চালু করতে পারবো।’
এর মধ্যে ১৫০ জন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করেছেন, নার্স যোগদান করেছেন ২০০ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যোগদান করেছেন ৩০০ জনের মতো। এছাড়া এই হাসপাতালে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা সহযোগিতা করছে।