নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের বিজয় দিবসেই খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। সেদিন থেকে সেতু দিয়ে চলবে বাস ও ট্রেন।
ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর সবশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতুর কাঠামো পুরোপুরি দাঁড়িয়ে গেছে। এখন আনুষঙ্গিক কাজ শেষে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)।
৪১টি স্প্যান মিলে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দুই পাড়ে আরও ৩.১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কসহ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩০ কিলোমিটার। চার লেনের সেতুর প্রস্থ ৭২ ফুট।
পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও চলছে। সেতুতে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোড স্ল্যাব। এর মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ২৩৯টির বেশি স্ল্যাব। রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৮৬০টির বেশি স্ল্যাব।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে ৪১টি স্প্যান বসলো পদ্মা সেতুতে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরবরাহ করা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগিত ৯১ শতাংশ, নদীশাসন কাজের ৭৫.৫০ শতাংশ, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকার কাজের শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২.৫০ শতাংশ।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, সার্বিকভাবে সেতুতে যান চলাচল শুরু করা যাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে।