নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার জেলায় খুরুশকূলে উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণকেন্দ্র সরাসরি দেখতে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুরুশকূল দেখতে যাব, শুঁটকি মাছের ভর্তা দিয়ে ভাত খাব।
বৃহস্পতিবার করোনা মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ২০টি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান।
প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়া ভবনগুলোতে ফ্ল্যাট পেয়েছেন ৬০০ পরিবার। এসব ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সব ভবন নির্মিত হলে উদ্বাস্তু জীবনের অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ ছেড়ে সাজানো পরিপাট্টি দালানে উঠবেন মোট প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার। ১০০১ টাকা নামমাত্র মূল্যে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে।
খুরুশকূলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এ বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পকে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খুরুশকূলে আলাদা একটা সুন্দর শহর গড়ে উঠবে উল্লেখ করে ফ্ল্যাট বুঝে পাওয়া জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এতদিন কষ্টের মধ্যে সেখানে ছিলেন, আমি নিজে গেছি, দেখেছি সেটি। এখন আপনারা সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজকে যেই ঘরবাড়িগুলো করে দেয়া হলো, মনে রাখবেন এটি আপনাদেরই নিজের। সেভাবে যত্ন নিয়ে ব্যবহার করবেন। সুন্দরভাবে যাতে থাকে, সেদিকে দেখবেন।
সবুজবেষ্টনী গড়ে তুলতে বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে নদীর কূল ধরে সবুজবেষ্টনী করে দেয়া হবে। কোনো ধরনের ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আপনারাও ব্যাপকভাবে একটু বৃক্ষরোপণ করবেন। পুকুর কেটে দেয়া হয়েছে। আর তা ছাড়া জীবন-জীবিকার যে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দেব, সেভাবে সবাইকে পুনর্বাসন করতে চাই।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এতদিন বস্তির ঝুপড়িঘরে কষ্টের জীবন শেষে দালানে উঠতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে দেন তারা। এই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান উপকারভোগীরা।
দরের খুরুশকূল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর তীরঘেঁষা বৃহৎ এ প্রকল্পে পর্যায়ক্রমে ৪ হাজার ৪৪৮ পরিবার ফ্ল্যাট পাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।