নিউজ ডেস্ক: করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে র্যাবের হটলাইনে এখন পর্যন্ত ১৪০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
রোববার র্যাবের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তারের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সেখানে সাহেদ করিম তার সব অপরাধ অপরাধ স্বীকার করেন। পরে সাহেদ করিমের ড্রাইভার ও এমডির (রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজ) ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা গত ১৭ জুলাই র্যাবের একটি সেবা লাইন (হেল্পলাইন- 01777720211) চালু করি। সেবা লাইনের উদ্দেশ্য ছিল যারা রিজেন্ট হাসপাতাল বা সাহেদ করিমের হাতে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের আইনি পরামর্শ ও আইনি সহায়তা দেয়া। এতে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এছাড়া একটি অফিসিয়াল ই-মেইলে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আহ্বান জানাই। আজ পর্যন্ত ১২০টি ফোনকল ও ২০টি ই-মেইল মারফত অভিযোগ পেয়েছি।’
অভিযোগগুলোর মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেয়া ও বিভিন্ন দপ্তরে বদলির সুপারিশের আশ্বাস দিয়ে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট, রড-সিমেন্ট সাপ্লাইয়ের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, রিজেন্ট হাসপাতালে সেবার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার তথ্য মিলেছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজ ও সাহেদের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক থেকে ফোন দিয়ে ঋণ নেয়া সংক্রান্ত অভিযোগ মিলেছে। অভিযোগকারীদের অনেকেই প্রবাসী। রিজেন্টের কর্মীদের অনেকে বেতন না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন।
র্যাবের হটলাইন আরও দুই থেকে তিন দিন চালু থাকবে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেবে।