1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

সেঞ্চুরির পথে পিয়াজের কেজি

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম আরও বেড়েছে। এ সময়ে খুচরায় প্রতি কেজি পিয়াজ ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং পাইকারিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আকারে তুলনামূলক ছোট ও ক্রস জাতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০-৯০ টাকায় এবং দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা দরে। পিয়াজের দাম এক মাসে বেড়ে গেছে

দ্বিগুণের বেশি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পিয়াজের দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করতে পারে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। তাদের মতে, কিছুদিন আগেও ৩ কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। কিন্তু এখন সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি। খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারত থেকে পিয়াজ আমদানির হুমকি দেয়ার পরও দাম কমছে না। এতে বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গতকাল বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে গতকালও রংপুরে ব্যবসায়ীদের দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে পিয়াজের দাম না কমলে আমদানি করবে সরকার।

ভরা মৌসুমে পিয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিশেষ করে কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, অন্য মন্ত্রণালয় রয়েছে। তবে শুধু পিয়াজ এবং চিনি নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার এবং পাড়া-মহল্লার দোকানে দেখা গেছে, দু’দিন আগের প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ খুচরায় বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকার উপরে। এক সপ্তাহ আগেও ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারিতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পিয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবি’র তথ্য মতে, এক মাসে পিয়াজের দাম বেড়েছে ১২১.৪৩ শতাংশ। গত বছর এই সময় বাজারে পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় অর্থাৎ এক বছরে পিয়াজের দাম বেড়েছে ৭৬.১৪ শতাংশ।

শ্যামবাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা জানান, দেশি পিয়াজ মানভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বুধবার ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তার দাবি, সরকার দ্রুত পিয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলে দাম কেজিতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে যাবে।

এক মাস আগে অর্থাৎ ঈদের আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। গত ১৫ দিন আগেও দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পিয়াজের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। অথচ শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ আছে, ফলে দাম বেড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর পিয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পিয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুত আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসেবে পিয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয়, তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পিয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে কেজিতে ৮০ টাকায় ঠেকেছে।

বাজার করতে আসা নয়ন বলেন, রোজার আগে পিয়াজ কিনেছি ৩০ টাকায়, এখন কিনলাম ৮৫ টাকা কেজি। চার দিন আগে কিনেছি ৭০ টাকা কেজিতে। দাম বেড়েই চলছে। বাজারে আসা আরেক ব্যক্তি বলেন, ৮০ টাকার নিচে বাজারে পিয়াজ নেই।
পিয়াজ বিক্রেতা হোসেন মিয়া বলেন, এখন পিয়াজের দাম কিছুটা বেশি। ইন্ডিয়া থেকে পিয়াজ আসছে না, তাই এখন বাড়তি আছে।
এদিকে পিয়াজের দাম কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারকে পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরিভিত্তিতে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

ওদিকে কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দরেই। পেঁপে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ৭০-১২০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১৬০ টাকা, লাউ ৭০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি।

ইলিশ মাছ ১৭০০-২০০০, রুই মাছ ৩০০-৪০০, কাতল মাছ ৪৫০-৫০০, কালিবাউশ মাছ ৫০০-৫৫০, চিংড়ি মাছ ৭০০-৯০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৭০০, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৯৮-২১৫, দেশি মুরগি ৬৮০, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি।

এ ছাড়া মুদি দোকানে মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, খোলা আটা ৫৭ টাকা, খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, সয়াবিন তেল (প্যাকেট) ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৮ টাকা ও খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার। এ ছাড়া খোলা চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সংকট রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys