1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সিলেটে অচেতন অবস্থায় ৫ প্রবাসী উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২

নিউজ ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগরে এক পরিবারের ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হচ্ছেন উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই খাতুপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬)।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হুছনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাজপুর স্কুল রোডস্থ ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। বিষক্রিয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।

পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছেন ধিরারাই গ্রামের রফিকুল ইসলাম। অসুস্থ ছেলে সাদিকুল ইসলামকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য গত ১২ জুলাই স্বপরিবারে দেশে ফিরে এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকেন। চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুর স্কুল রোড এলাকার অরুনোধয় পাল ঝলকের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। গতকাল সোমবার রাতের খাবার শেষে প্রবাসী রফিক মিয়া তার স্ত্রী সন্তানসহ একটি কক্ষে এবং রফিকুল ইসলামের শশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন, শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগম ও মেয়ে সাবিলা বেগম অন্যান্য কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।

আজ সকালে বাসার সুস্থ স্বজনরা ডাকাডাকি করে প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী-সন্তানরা ঘরের দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলামসহ তার স্ত্রী হুছনারা বেগম, ছেলে মাইকুল ইসলাম. সাদিকুল ইসলাম ও মেয়ে সামিয়া ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি তিনজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বিষক্রিয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

এ ঘটনায় নিহত রফিক মিয়ার শশুর আনফর আলী, শাশুড়ী বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শোভা বেগমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা। এছাড়া পিবিআই ও সিআইডির দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যে বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাসায় ৩টি শয়ন কক্ষ। যে কক্ষে প্রবাসী পরিবারের ৫জন ঘুমিয়েছিলেন কক্ষটির আসববাপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে।

প্রবাসী হুছনারা বেগমের চাচাতো ভাই গোলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা এসেছি। কে বা কারা কিভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানি না। আমার বোনের পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই।

সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিষক্রিয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিভাবে বিষক্রিয়া ঘটেছে তা তদন্তের আগে বলা সম্ভব নয়। যে সকল নিকট আত্মীয় বাসায় ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys