নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখে রাজধানীতে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না। তবে এবার বাঙালির প্রাণের এই উৎসব উদযাপনে রমনার বটমূলে বসেছে প্রাণের মেলা; রমনা ফিরেছে তার চিরচেনা রূপে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯-এর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে ছায়ানটের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ মঙ্গললোকে’ গানের মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শুরু করেন। ছায়ানটের ৮৫ জন শিল্পী এবারের বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেন। এ সময় একে একে মঞ্চের সামনে প্রবেশ করে মানুষ। বটমূলের সামনে এসে উপস্থিত হন দর্শক-শ্রোতারা।
এদিকে, যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ৩৭টি আয়োজন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান। পাশাপাশি আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও থাকছে।
ভোরের সূর্য উঠতেই রঙ- বেরঙয়ের পোশাক আর কাঁচা ফুলে সেজে রমনার বটমূলে হাজির হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের পোশাকে যেমন ছিল বাঙালিয়ানার ছাপ, তেমনি চোখে মুখে ছিলো নব প্রত্যাশা আর স্বপ্ন।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে, সবাইকে নিয়ে ছায়ানটের এবারের আয়োজনে নতুনত্ব যোগ করা হয়েছে। সাধারণভাবে ছায়ানটের বর্ষবরণের মঞ্চে কমবেশি সোয়াশ’ শিল্পী থাকেন। এবার স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় রেখে শিল্পীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।
ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত পহেলা বৈশাখের আয়োজন করে আসছে। এর মাঝে কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ এবং গেল দুই বছর করোনার কারণে এ আয়োজন হয়নি।