1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য হোসেইনের অসাধ্য সাধন

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সুরাইয়া নাজনীন:

প্রবাস জীবন ততটা সুখের নয়। এখানে সুখ কিনতে জীবনের সবটুকু শ্রম-মেধা, সাহস লাগে। ফ্রান্স প্রবাসী হোসেইন রহমান সেই সাহস কাজে লাগিয়েছেন একশ তে একশ। নিজের জীবন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তৈরি করেছেন ড্রাইভিং স্কুল। কিভাবে করলেন, কিভাবে সফল হলেন সেই গল্প বললেন আমাদেরকথা’র পাঠকদের উদ্দেশ্য

 

কবে থেকে শুরু করলেন?
এই প্রশ্নে হোসেইন রহমান বলেন, আমার ড্রাইভিং স্কুলের নাম বাংলা অটো ইকোল। এখানকার ৯৮ ভাগই বাঙালি। শুরু করেছি ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে।

 

কেন এই ভাবনা এলো?
ভাবনার জায়গাটি পরিষ্কার হয়েছে নিজের জীবনেরই অভিজ্ঞতা থেকে। ফ্রান্সে আমি খুব ভালো জীবন-যাপন করছি কিন্তু ইচ্ছে-আকাঙ্খা, শখ মনে মনে যদি একটি গাড়ি থাকতো! কিন্তু গাড়ি থাকলেইতো আর হবে না, থাকতে হবে লাইসেন্স। লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষা খুবই কঠিন এখানে। আমি এসেছি ২০০৩ সালে। ফ্রেন্স ভাষা বেশ আয়ত্বে এসেছে। কিন্তু তবুও ভয়! এই পরীক্ষায় কি পাস করতে পারবো। তখন থেকেই মনে মনে পরিকল্পনা করলাম। পরীক্ষা দিব ঠিকই তবে সেটা কি বাংলাতে হতে পারে না? কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব হবে!

 

অসম্ভবকে কিভাবে সম্ভব করলেন?
তিনি বলেন, আমি প্রিফেকচারে গিয়ে খবর নিলাম দো-ভাষির মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব কিনা। কিন্তু এই প্রসেস করতে অনেক সময় লেগে গিয়েছে। অনুমোদন পেতে আমাকে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু আমি আশা ছাড়িনি। আমার গন্তব্যে আমি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।

 

কেমন চলছে বাংলা অটো ইকোল
‘আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো। অনুমেোাদন পেয়ে ৩টা নামিয়েছিলাম ক্লাস নেয়ার জন্য এখন ৪টা গাড়ি চলছে। সাড়া পাচ্ছি খুব ভালো।’

 

বাংলা অটো ইকোলের লোগো

 

ভর্তি প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে যদি বলতেন

‘হোসেইন রহমান বলেন, প্রথমত একটি প্যাকেজ নিতে হবে। এক ক্লাসে ১৫ জন বসতে পারে। দিনে ৩ টা ক্লাস হয়। এখানে সবাই যেহেতু ব্যস্ত, তাই যার যার সুবিধামতো ক্লাসের টাইম সেট করতে পারবে।’

 

পাস করা খুব কঠিন?
‘তিনি বলেন, এখানে আসলে যার যার মেধার উপর ডিপেন্ড করবে। প্রথমে থিওরি পরে প্রাকটিক্যালে পাস করতে হবে।

 

আপনার স্কুলটি প্রবাসীদের উপর কেমন প্রভাব ফেলেছে?
‌’আমি খেয়াল করছিলাম প্রবাসীরা খুব মেধাবী। জীবন দিয়ে কাজ করে। কিন্তু কোন দিক থেকে যেন পিছিয়ে পড়ছিল। গাড়ি থাকলে নিজের একটা আত্মনির্ভরশীলতাও তৈরি হয়। অনেকে গাড়ি কেনে কিন্তু কিনে কি লাভ? লাইসেন্স না থাকলে! এখন আমার স্কুলের জন্য বাংলাদেশি কমিউনিটি ভরসা পায়। তারা নির্ভয়ে, নির্দিধায় আমার স্কুলে ভর্তি হয়। পাস করে গাড়িও কিনে ফেলে। আমার কমিউনিটির মানুষ যেন ভালো অবস্থানে থাকতে পারে সেই জন্য আমি এই স্কুলটি করেছি। আর একটি শাখাও খুলছি বাংলা অটো ইকোলের। আশা করি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।;

আমাদেরকথা’র পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ। সময় দেয়ার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys