1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

কুলাউড়া কর্মধা ইউপি সচিবের নানান দুর্নীতি

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিন প্রতিদিন অফিস শুরু করেন দুপুর ২ টায় । প্রতিনিয়ত সচিব বোরহান উদ্দিন নানা অনিয়ম ও দুর্নিতী করে যাচ্ছেন । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নাগরিকরা সচিবের নিকট হয়রানির শিকার হতে হয় । প্রতিদিন দুপুর ২ টায় অফিস শুরু করায় নাগরিকরা বিভিন্ন সেবা গ্রহন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় । টাট্রিউলী গ্রামের ময়ূব আলী জানান তার ভাইয়ের মৃত্যুর সনদ ইউনিয়ন পরিষদে আনতে গেলে আজ কাল দিবে বলে কয়েকদিন যাওয়ার পর আমি হয়রানির শিকার হই । যখন আমি সনদের জন্য সচিব বোরহান উদ্দিনের কাছে জোর দাবি জানাই ,তখন ইউনিয়নের পরিষদের কয়েকজন মেম্বারের সামনে তিনি আমাকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন
জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন, উত্তরাধিকারী সনদে সচিব নিয়ম ভেঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের নিকট হতে ৪০০- ৫০০ শত টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন ।
যথা সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত না থাকার কারনে সচিবের সাক্ষর নিতে নাগরিকদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় । সরেজমিনে দেখা যায় অনেক নাগরিকরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনেক্ষন বসে থাকতে হয় । ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিন প্রতিদিন শমসেরনগর থেকে লোকাল পরিবহনে কর্মধা ইউনিয়নে এসে অফিস করেন । যার ফলে প্রতিদিন সচিব বোরহান উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বেলা ১ থেকে ২টা বেজে যায় ।
নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা । সরেজমিনে আরো লক্ষ করা যায় ,কোনো নাগরিক সনদের জন্য আবেদন করলে অতিরিক্ত হারে টাকা দাবি করে থাকেন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিন । সাধারণ নিরীহ নাগরিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হয় । তাছাড়া কেউ যদি সনদের অতিরিক্ত ফি দিতে রাজি না হয় তাহলে সচিব সনদ আটকে রেখে টাকা আদায় করেন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান , “দির্ঘদিন থেকে সচিব নাগরিকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছেন । এতে দিন দিন নাগরিকরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বোরহান উদ্দিনের নিকট হয়রানির শিকার হতে হয় । রুহুল আমিন এতে খুব প্রকাশ করে বলেন যেকোনো কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদে আনতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় সচিবের নিকট , বোক্তভুগি মাসুদ বলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে সাধারণ জনগন যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে তিনি ধুরব্যবহার করেন। সত্তার মিয়া বলেন তিনি একটি জরুরী কাগজ আনতে গেলে আজ দিবে কাল দিবে বলে প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কাজগজ তিনি পান নি । এ বিষয়ে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক জানান ,এবিষয়ে যারা অভিযোগ করেছে তা সত্য নয় ,এবং বানোয়াট মিত্যা কথা বলছে, ইউনিয়ন পরিষদ সরকারি বিধি অনুযায়ী যে কোনো সনদে সরকারি ফি নেন । আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিন সচিব বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্তিক হয়ে বলেন ” আমি এই পরিষদের মানুষকে কোনো কেয়ার করিনা আপনারা যা খুশি তা করতে পারেন ” । এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys