1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

আদালতে সাহেদের যা হলো

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
প্রতারণা ও জালিয়াতিতে দেশজুড়ে আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: যুগান্তর
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদ রিমান্ড শুনানির এক পর্যায়ে সাহেদ পানি খেতে চান। এসময় বিচারক পানি অন্য একজনকে আগে পান করে পরীক্ষার পর সাহেদের হাতে বোতল দিতে বলেন।

আদালতের একজন কর্মচারী তখন নিজে পরীক্ষা করে বোতল সাহেদের হাতে দেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জুলাই রাতে মারা যান সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম, যিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

তার আগে রিমান্ড শুনানির সময় সাহেদ বিচারককে বলেন, ‘তার রিজেন্ট হাসপাতালই প্রথম সরকারের আহ্বানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছিল, যখন অন্য কোনো হাসপাতাল সাড়া দিচ্ছিল না। হাসপাতাল থেকে করোনা আমাকে ও আমার পরিবারকে সংক্রমিত করে। আমরা সেরে উঠি। হাসপাতালের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সোনালী ব্যাংকে আমরা টাকাও জমা দিয়েছে। আমি কোনো অপরাধ করিনি। অন্যায়ভাবে র্যা ব ও পুলিশ আমার হাসপাতালের বিভিন্ন শাখা সিলগালা করে দিয়েছে।’

সাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রিমান্ডের বিরোধিতা করে বলেন, “কোনো কথিত ভুক্তভোগী এ মামলা করেনি, করেছে পুলিশ। অথচ তার কাছ থেকে (সাহেদ) ব্যাপকভাবে সাধারণ জনগণ উপকৃত হয়েছে। তার অনেক শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন, যারা তার কাছে থেকে কোনো বিনিময় ছাড়া উপকৃত হয়েছেন।”

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদেনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “এই সাহেদ বিদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। তার কারণে ইতালি থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক, প্রবাসী কর্মীদের ফেরত আসতে হয়েছে। তিনি পরীক্ষা না করেই ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

“তারা একটা চক্র। এ চক্রের আরো লোকজনের নাম ঠিকানা জানার জন্য আরো তথ্য উদ্ধারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হোক।”

রাষ্ট্রপক্ষের এই পিপির কথায় সমর্থন দিয়ে অতিরিক্ত পিপি কে এম সাজ্জাদুল হক শিহাব বলেন, ‘৬ হাজারে বেশি ভুয়া করোনা পরীক্ষার সাটিফিকেট আসামিরা দিয়েছিল। প্রত্যেক সাটিফিকেটের জন্য ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করত তারা। তারা বড় রকমের ধড়িবাজ, প্রতারক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys