নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ আজানের বাণী বদলে দিয়েছে। আমিরাতের মসজিদগুলো থেকে যে আজান দেয়া হয় তাতে একটি নতুন বাক্য যুক্ত হয়েছে। আজানে যুক্ত করা এই নতুন বার্তায় লোকজনকে বাড়িতে থেকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোমবার আমিরাতের মসজিদগুলো থেকে যে আজান দেয়া হয় তাতে একটি নতুন বাক্য যুক্ত হয়েছে। আজানে যুক্ত করা এই নতুন বার্তায় লোকজনকে বাড়িতে থেকে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইসলাম ধর্মের রীতিতে মসজিদে এসে নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়ে যে আজান দেয়া হয় তার বাণীতে একটি বাক্য হচ্ছে ‘হাইয়া আলা আল-সালাহ’ – যার অর্থ নামাজ পড়তে আসুন। নতুন আজানে শোনা যাচ্ছে মুয়াজ্জিন বলছেন, ‘আল-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ – অর্থাৎ বাড়িতে থেকে (অথবা আপনি যেখানে আছেন সেখানে থেকেই) নামাজ পড়ুন।
দুবাইয়ের ইসলামিক এফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাকটিভিজ ডিপার্টমেন্টকে উদ্ধৃত করে গালফ নিউজ জানায়, ওই বিভাগের ইনস্টাগ্রাম পেজে পোস্ট করা এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় ও সামাজিক দায়িত্বে প্রতি অঙ্গীকার অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে দুবাইয়ের সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া স্থগিত থাকবে, এবং জনগণকে তাদের বাড়িতে থেকে নামাজ পড়তে বলা হবে এবং এই মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হবে।’
গালফ নিউজ আরো জানায়, এই পোস্টের আরবি সংস্করণে শেষে একটি লাইন জুড়ে দেয়া হয়েছে যাতে বলা হয়, (এ পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনাদের সচেতন করতে) এখন মুয়াজ্জিনকে বলতে শোনা যাবে ‘বাড়িতে নামাজ পড়ুন’।
খালিজ টাইমসের রিপোর্টে বলা হয় ‘দ্য জেনারেল অথরিটি অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এনডাওমেন্টস’ সোমবার বলেছে, ‘মসজিদগুলো থেকে মুসল্লিদেরকে নামাজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন করতেই শুধু আজান দেয়া হবে। মসজিদের দরজা বন্ধ থাকবে।’
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই নতুন আজানের ভিডিও পোস্ট করে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
করোনাভাইরাস বা কোভিড নাইনটিন বিস্তার ঠেকানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে মসজিদে এসে নামাজ পড়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ চার সপ্তাহ। সোমবার রাতে আমিরাত সরকারের এ নির্দেশ ঘোষিত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব জায়গাতেই এক মাসের এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে বলে গালফ নিউজের সংবাদে বলা হয়। কুয়েতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আমিরাতে অন্তত ১০০ জনের দেহে কোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে এখন ১ লাখ ৭৩ হাজার লোক কোভিড নাইনটিন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে, এবং মারা গেছে সাত হাজার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা একে বিশ্বব্যাপী মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। সূত্র: বিবিসি