নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রায় ৮৬ হাজার কোটি ডলারের একটি প্যাকেজের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এর নেতারা। টানা চার দিন ধরে বৈঠকের পর সোমবার রাতে এ বিষয়ক চুক্তিতে সই করেন তারা।
এই ৮৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ হিসেবে নেবে ইইউ। পরে এই অর্থের একটি অংশ অনুদান হিসেবে ব্যয় করা হবে। বাকি অংশ বিতরণ করা হবে ঋণ হিসেবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আগে কখনো এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নেয়নি। এবারের ব্রাসেলস সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন চার্লস মাইকেল। তিনি বলেন, নেতারা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন এবং এই চুক্তি ইইউয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তি বাস্তবায়নের আগে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে পাস হতে হবে।
চুক্তিতে পৌঁছতে ইইউ নেতাদের বেগ পেতে হয়েছে। কারণ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ছিল এক পক্ষে। আরেক পক্ষে ছিল তুলনামূলক দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো। এসব দেশ শুরু থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণের বিরোধিতা করে আসছিল।
৮৬ হাজার কোটি ডলারের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার কোটি ডলার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হবে। সেই হিসাবে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাবে ইতালি ও স্পেন। বাকি ৪৫ হাজার কোটি ডলার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে।
গত শুক্রবার শুরু হয় ব্রাসেলস সম্মেলন। কয়েক দফায় সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ ঘণ্টা আলোচনা চলে ইইউ নেতাদের মধ্যে। গত ২০ বছরের কোনো সম্মেলনে এত দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়নি।
ইইউয়ের বেশির ভাগ নেতা এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ‘দিনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ঐতিহাসিক।’ ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, ‘আজ আমরা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছি।’