নিজস্ব প্রতিবেদক: হতাশার এই জগত সংসারে আমরা শুধু অজুহাতের যাত্রী। কিন্তু পৃথিবীর বুকে কত ভালো মানুষই আছেন যারা ফেরেস্তার মতো কাজ করেন। আসলে এসব মানুষের জন্য বিশ্ব আজো আলো দেখে। আমরা সেসব মানুষদেরকেই পাশ কাটিয়ে চলে যাই। আসল হিরো তো তারা, যারা প্রচারের ন্যুনতম আশাটুকুন ও করে না। যতটুকু করেন মন থেকে।
বাংলাদেশিদের যতই নিগ্রহ করা হোক না কেন তারা বিপদের বন্ধু হয়ে ওঠে বিদেশের মাটিতে।
তেমনই এক হিরোর গল্প আজ। গল্পটি ছোট্ট কিন্তু মহত্ম অনেক।
সেই হিরোকে আজ স্যালুট জানাচ্ছি। তার ভাষায় তার বক্তব্যে তুলে ধরছি।
“আজ দুপুর ২ টার দিকে fort d’aubervilliers এর পাশেই এক বাসার পার্কিং-এ আমার গাড়ি রাখি। প্রতিদিনের মত আজকেও গিয়েছি। হঠাৎ দেখি এক আরাবিয়ান মহিলা খুব কান্নাকাটি করছে। সাথে একটি মেয়ে। তার কান্নাকাটি শুনে আশেপাশের আরো অনেক আরবিয়ান মহিলারা এক হয়েছেন। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে যেহেতু আমি আরবি জানি । পরে ওই মহিলা বললেন উনার দুই বাচ্চা ৩ তলায়। দরজা খুলছেনা ভিতর থেকে লক দেয়া। মহিলাটি এত মাতম করছিলো যে কারু দেখে মন কেঁদে উঠবে। পরে আমি বললাম জানালার পাইপ দিয়ে আমি বেলকনিতে উঠে দরজা খুলে দিতে চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। যেই কথা সেই কাজ। আলহামদুলিল্লাহ বেলকনি বেয়ে উঠে দরজা খুলে দেই। হায় আল্লাহ মা যে কত খুশী আর আমার জন্য কতো দোআ। কিচ্ছুক্ষণ পরে মহিলার স্বামী চলে আসেন। মনে খুব আনন্দ লেগেছে এরকম কাজ করে। মানুষ কত খুশী আহা ভালো কাজের আনন্দ আলহামদুলিল্লাহ.”