ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে চলমান ইউনেসকোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আয়োজিত সংস্কৃতিমন্ত্রীদের ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৩৯টি দেশ থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রীরা এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই ফোরামে মোট চারটি থিমে ১৬টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ দিনের দ্বিতীয় থিম ‘কালচার অ্যাট দ্য হার্ট অব এডুকেশন, আ ফান্ডামেন্টাল ডাইমেনশন ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন।
কে এম খালিদ সৃজনশীল শিল্পগুলোয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানে বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। ব্যক্তি পর্যায় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ বিস্তৃত বলে উল্লেখ করে তিনি শিল্পকলা একাডেমিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সংস্কৃতি ও সৃজনশীল শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের ওপর বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে।
ফোরামে অংশ নেওয়ার ফাঁকে কে এম খালিদ ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতিবিষয়ক উপমন্ত্রী হিলমার ফরিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে ২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় কালচারাল কার্নিভ্যাল ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া, দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তি নবায়ন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দেশের সংস্কৃতি প্রতিনিধিদল বিনিময় ও সার্বিক সংস্কৃতিবিষয়ক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।