নিউজ ডেস্ক: মা হওয়ার খবরটা যখন পরিচালক স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানতে পারেন, কী করেছিলেন? এমন একটি প্রশ্ন ছিল তিশার কাছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিশা বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, খবরটা শুনে সরয়ার বিছানা থেকে উঠে সুন্দর একটা নাচ দিল (হাসি)।’
কয়েক মাস আগে মা–বাবা হওয়ার খবরটি জানতে পারেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশা ও পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মাসখানেকের মধ্যে তাঁদের অনাগত সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে যাচ্ছে। এই আনন্দের সংবাদ আসার পর থেকে জীবনের সেরা সময় কাটছে তিশা ও ফারুকী দম্পতির পরিবারে। তিশা বলেন, ‘প্রথম যখন শুনেছি, সেই আনন্দের খবরটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি কনসিভ করেছি, খবরটা আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে জানাই। আই ওয়াজ লাইক ভেরি হ্যাপি, ভেরি হ্যাপি! আর ফারুকীর আনন্দ দেখে মনে হয়েছে, সেও জীবনের সবচেয়ে বড় হ্যাপি একটা সংবাদ পেল। সরয়ারকে তো ভারী ভারী সব কথা বলতে দেখেছি। ডিরেকশনের সময় অন্য রকম একজন, সেই তাকে দেখছি, নাচছে, তাহলে বোঝেন, কী পরিমাণ খুশি হয়েছিল!’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাচ কি তাহলে জীবনে প্রথম দেখার সুযোগ হয়? ‘না, এর আগেও একবার সৌভাগ্য হয়েছিল। আর তা আমার সঙ্গে বিয়ের পর। এবার দেখলাম, বাবা হওয়ার খবরটা শোনার পর।’ বাবা হতে যাওয়া ফারুকীর এই নাচ কি ভিডিও করে অনাগত সন্তানের জন্য রেখে দিয়েছেন? তিশা বললেন, ‘পুরো ব্যাপারটা এত কুইক হয়ে গেছে, ভিডিও করার সময়টা পাইনি। সত্যি কথা বলতে, সরয়ারের কত পরিচয়! বাবার সেই ফিলিংসটা, বাবা হতে যাচ্ছে, আসলে ওর জন্যও বিশাল আনন্দের, তখনই বুঝতে পেরেছি।’
অভিনয়ে যাঁর দুই যুগের টানা পথচলা, সেই তিশাকে কয়েক মাস ধরে অভিনয়ের কোনো খবরে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি করোনার সময়ে স্টুডিওতে গিয়ে যিনি উপস্থাপনা করতেন, তিনি তাঁর বনানীর বাসা থেকে সেই উপস্থাপনার কাজ সেরে নেন। এদিকে খবর রটে, পা মচকে ঘরবন্দী তিনি। চিকিৎসক বলেছেন, পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে। এর মধ্যে প্রথম আলো জানতে পারে, মা–বাবা হতে যাচ্ছেন তিশা ও ফারুকী।
মা হওয়া নারীর জীবনের অন্যতম একটি সুন্দর অধ্যায়। সেই খবরটা এত দিন প্রকাশ করতে না চেয়ে এই সময়ে প্রকাশ করার পেছনে কারণ কী, জানতে চাইলে তিশা বলেন, ‘মা হওয়া ও সন্তানের বিষয়টা একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়। এ কারণেই বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছি। এটা স্পর্শকাতর বিষয় বলেও মনে করছি। মনে হয়েছে, একটা নির্দিষ্ট সময়েই এটা জানাব। আমার কাছে মনে হয়েছে, এখনই সেই সময়। আমার দর্শক, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন, তাঁরা এই সুখবরটি শুনলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সবকিছু মিলেই এখন জানানো।’
ভালোবেসে ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একদিন সাহস করে তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এরপর বিয়ে করেন।