নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২২ দিন ধরে কারাগারে থাকা ঢাকাই সিনেমার নায়িকা একার গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায়ও জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম মাদক আইনের মামলায় এ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। দুই মামলায় জামিন হওয়া এ আসামির মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন একার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির।
গত ৩১ জুলাই ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের উলন এলাকায় বন্ধু নিবাসের ৯ তলায় একার অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে আহত অবস্থায় গৃহকর্মী হাজেরা বেগমকে (৩০) উদ্ধার এবং গৃহকর্তী একাকে আটক করা হয়।
ওই সময় একার বেড রুমের বিছানার ওপর থেকে ৫ পিচ ইয়াবা, ৫০ গ্রাম গাঁজা, ৫৫০ মিলি মদ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মাদক ও গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এরপর গত ১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই (নি.) মো. ফয়সাল একাকে হাজির করে উভয় মানলায় তিন দিন করে ৬ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, গৃহকর্মী হাজেরা বেগম মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে গত ৩ মাস ধরে কাজ করে আসছিলেন। কাজ শেষে গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একার কাছে পাওনা বকেয়া বেতনের দুই মাসের ছয় হাজার টাকা চান। তখন একা তাকে বলেন, তোকে দিয়ে আর কাজ করাব না। তিনি হাজেরা বেগমকে গলা ধাক্কা দেন। পাওনা টাকা না দিলে যাবেন না জানালে হাজেরা বেগমকে এলোপাথাড়ি মারপিট করেন এবং রান্না ঘর থেকে বটি এনে মাথায় কোপ দেন একা। হাজেরা বেগম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার বাম হাত জখম হয়। তখন তিনি ডাক চিৎকার দিলে একা তার মুখ চেপে ধরে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পুলিশ হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করতে গিয়ে একার বাসায় অভিযান চালায়।