নিউজ ডেস্ক: অকালপ্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর স্ত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিতি সামিরা হক। আর ইশতিয়াক আহমেদ সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক। গত ১৫ জুলাই নতুন জীবন শুরু করলেন এই দুজন। এক বছরের প্রেমের পর পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেছেন তাঁরা। কনের বারিধারার বাসায় বিয়ে হয়েছে। আজ রোববার সামিরা ও ইশতিয়াক দুজনই বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর তাঁরই বন্ধু মোশতাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন সামিরা। মোশতাক-সামিরার সংসারে এক পুত্র ও দুই কন্যা আছে। দুজনের পারস্পরিক সম্মতিতেই ডিভোর্স কার্যকর হয়েছে চলতি বছরের ২১ জুন, এমনটাই জানিয়েছেন মোশতাক ও সামিরা।
ইশতিয়াক আহমেদ জানান, ‘সামিরার মা–বাবা চট্টগ্রামে থাকেন। আমার মা-বাবা দুজনেই মারা গেছেন, বোনেরা থাকেন দেশের বাইরে। সবার সম্মতিক্রমেই বিয়ের কাজটি করেছি। সশরীর উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভার্চ্যুয়ালি সবাই ছিলেন। ছিলেন দুজনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও।’
সামিরা হক বলেন, ‘জীবনের এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, ভালো কিছু বলতে গেলেও মানুষ খারাপভাবে নেবে। খারাপ কিছু তো বলার প্রশ্নই আসে না, কারণ সবকিছুই ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু ভালোই তো লাগছে।’
তাঁরা দুজন এখন পিংক সিটি এলাকায় ইশতিয়াকের বাসায় থাকছেন।
ইশতিয়াক বললেন, ‘উই আর হ্যাপি। সামিরা, মোশতাক (ওয়াইজ) ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে চাওয়া, বিচ্ছেদের কারণে যেন আমাদের সন্তানেরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা যেন সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেতে পারি, সবার কাছে সেই দোয়াটুকু চাইব। আমরা জানি, হোয়াট ইজ ইন দা বেস্ট ইন্টারেস্ট অব এভরিওয়ান।’
সামিরা জানান, ‘মানুষ বাইরে থেকে অনেক কিছু ভাবে। সবকিছু তো আর মানুষের কাছে প্রকাশ করা যায় না। করতে চাইও না। বয়সের সঙ্গে, সময়ের সঙ্গে, অভিজ্ঞতার সঙ্গে মানুষের জীবনের কিছু পরিবর্তন আসে। আমার সেকেন্ড হাজবেন্ডের সঙ্গে থাকলেও তা আসতে পারে। তার মানে এই নয় যে আমার সেকেন্ড স্বামী খারাপ, তাঁর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে।
আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়েছে। আমাদের তিনটা ছেলে-মেয়ে আছে। ইশতিয়াকের চিন্তা ছিল, আমাদের কারণে আমাদের সন্তানেরা যেন কষ্ট না পায়। আমরা দুজনই দুজনের সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। আমার মা–বাবার সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা সময় নিয়েছি। আমরা বাচ্চা নই, যথেষ্ট ম্যাচিউরড। বিয়ের বিষয়টা তাই অত আয়োজন করেও করতে চাইনি। মানুষকে জানাতেও চাইনি। তবে আমরা দুজন অবশ্যই খুশি। আমরা চাই, আমাদের মতো করে থাকতে।’