নিউজ ডেস্ক: ‘মা শুনে বলেছিলেন– লোকে তোমার কাপড় দেখতে আসবে না, তারা তোমাকে দেখতে আসবে।’
বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনকে এ কথাই বলেছিলেন তার মা। আর সেই কথার জোরেই ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট মাথায় পরেছিলেন সুস্মিতা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সুস্মিতা সেনের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে এমন তথ্যই জানা গেল।
১৯৯৪ সালে পুরো বিশ্ব তাকিয়েছিল ১৮ বছর বয়সী অপূর্ব সুন্দরী সুস্মিতার দিকে। কারণ সে বছরই মিস ইন্ডিয়া ও মিস ইউনিভার্সের খেতাব জেতেন সুস্মিতা। এর পর বলিউডে অভিষেক ঘটলে তাকে নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন ভারতীয়রা।
তবে যে কথাটি আলোচনার বাইরে থেকে যায়, তা হলো মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা যে গাউন পরেছিলেন, সেটি কার বানানো?
এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন সুস্মিতা, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ভিডিওতে সুস্মিতাকে বলতে শোনা গেছে, সেই সময় আমার এত টাকা ছিল না যে, ডিজাইনার গাউন পরে স্টেজে উঠব। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলাম, জীবন চালিয়ে নিতে অত সমস্যা না হলেও বিলাসিতা, দামি কাপড় ভাগ্যে জুটত না। এই প্রতিযোগিতায় কতটা করা সম্ভব আর কতটা সম্ভব নয়, সেটি আমি ভালো করেই জানতাম। তাই কোন পোশাক পরব তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই।
তিনি বলেন, সরোজিনী নগর মার্কেট থেকে কাপড় কিনে আনি। আমাদের বাসার নিচে গ্যারেজে একজন দর্জি ছিলেন। তাকে গিয়ে বলি– আমাকে টিভিতে দেখাবে, দয়া করে ভালো করে বানাবেন। সেই দর্জিই আমার সেই গাউন বানিয়েছিলেন। পরে বেঁচে যাওয়া কাপড় দিয়ে ফুল বানিয়ে ওই গাউনে মা বসিয়ে দিয়েছিলেন, যা গাউনটাকে অন্যরকম সুন্দর করে দেয়।
আর নতুন কালো মোজা কিনে তাতে গার্ডার লাগিয়ে গ্লাভস বানিয়ে পরেছিলাম।
এভাবে প্রতিযোগিতার জন্য চারটি পোশাক তৈরি করেন সুস্মিতা। তবু সস্তা কাপড় আর সাধারণ দর্জি দিয়ে বানানো পোশাক পরলে কি মিস ইউনিভার্স হওয়া যাবে! এমন প্রশ্ন ছিল সুস্মিতার মনে।
কথাটা শুনেই সুস্মিতার মা বলেছিলেন– কাপড় দেখতে লোক আসবে না, তোমায় দেখতে আসবে।
মায়ের সে কথাতেই সব হীনমন্যতা ঝেড়ে ওই পোশাকে বিশ্বমঞ্চে হাজির হন সুস্মিতা। জেতেন মিস ইউনিভার্স খেতাব।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ