নিউজ ডেস্ক: চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসার যেকোন খবরাখবরের জন্য তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান ও ছেলে শরৎ’র মুখ নিসৃত বানীর বাইরে অন্য কারো বাণী বা স্টেটম্যান্ট’র উপর আস্থা না রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
ফারহানা পাঠান মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে বিনীত অনুরোধ করে বলেন, ‘প্লিজ কেউ তার (ফারুক) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। তিনি লাইফ সাপোর্টে নয়, তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে তোলেন, ভালো করে তোলেন। আর সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে সরাসরি আমাদের সঙ্গেই যেন যোগাযোগ করেন। কারণ, আমরা তার কাছে আছি, পাশে আছি, আমরাই ভালো বলতে পারবো তিনি কেমন আছেন।’
ফারহানা পাঠান জানান, বিগত ১৬/১৭দিন যাবত ফারুক অচেতন আছেন। হাত পা মাছে মাঝে নাড়াচ্ছেন তিনি। তবে তিনি কথা বলছেন না। চোখও মেলছেন না। এই অবচেতন অবস্থাতেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। জানা যায় গেলো ১৬ মার্চ ফারুকের একটা খিঁচুনি হয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবার খিঁচুনি হয়। যে কারণে ২১ মার্চ তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎসার পর মস্তিষ্কে সমস্যা ধরা পড়ে। ২৩ মার্চ থেকে সেন্স পুরোপুরি চলে যায়। এরপর আর কোনো নড়াচড়া করেননি। রক্তচাপও কমে যায়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্কের নার্ভে এক ধরনের খারাপ জীবাণুর সন্ধান পান। পরবর্তীতে শরীরের ভেতরেও রক্তক্ষরণ হয়েছে। যে কারণে অবস্থা সংকটাপন্ন।
তিনি আরও জানান, মস্তিষ্কের সমস্যার উন্নতি হচ্ছে খুব ধীরে। একটার পাশাপাশি আরেকটা সমস্যা ধরা পড়ছে। তবে কোনো অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে না। স্বাভাবিক নিয়মে নিশ্বাস নিতে পারছেন।
উল্লেখ্য, বিগত আট বছর ধরে সিঙ্গাপুরে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছেন ফারুক। এদিকে দেশ ছাড়ার আগে তিনটি গল্প নিয়ে তিনি সিনেমা নির্মাণের কথা অনেক আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন। তিনটি গল্পের বিষয়বস্তু হচ্ছে একটি দেশ ভাগের গল্প, একটি মানবিক গল্প এবং আরেকটি রাজনৈতিক গল্প। তবে কোনটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ফারুকের ইচ্ছে ছিলো গল্প চূড়ান্তর পর গল্পের সংলাপ রচনা করবেন আমজাদ হোসেন। গান লিখবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ফারুকের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা থেকেই নির্মিত হবে ফারুক নির্দেশিত প্রথম চলচ্চিত্র। কিন্তু এরইমধ্যে আমজাদ হোসেন চলেও গেলেন পরপারে। চিত্রনায়ক ফারুক সর্বশেষ আজাদী হাসানাত ফিরোজ পরিচালিত ‘ঘরের লক্ষী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ববিতা। এরপর আর নতুন কোন চলচ্চিত্রে তাকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। ফারুক প্রযোজিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘জীবন মৃত্যু’, ‘তাসের ঘর’, ‘সুদ আসল’, ‘জাদু মহল’, মিয়া ভাই’ ইত্যাদি।