নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন লিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। আর ১ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানান অভিনেত্রী। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় সন্তান সম্ভবার খবরে নেট দুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন দিয়া।
কেউ কেউ বলেছেন, ‘বিয়ে করতে না করতেই বেবি বাম্প!’ কারও প্রশ্ন, ‘বিয়ে করার আসল কারণ তাহলে এটাই?’
দিয়াকে উদ্দেশ্য করে একজন লিখেছেন, ‘খুবই ভালো খবর, কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। নারী পুরোহিতের মন্ত্রে বিয়ে করে প্রচলিত রীতি ভেঙেছেন ঠিকই, কিন্তু বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়ার খবরটা দিলেন না কেন? তার মানে কি বিয়ের আগে গর্ভবতী হওয়াটা অন্যায়? কেন একজন নারী বিয়ের আগে সন্তানসম্ভবা হতে পারেন না?’
এর উত্তরে দিয়া বলেন, ‘খুবই মজার প্রশ্ন। প্রথমত, আমাদের সন্তান আসছে দেখেই বিয়ে করেছি তা কিন্তু নয়। একসঙ্গে থাকব জন্যই বিয়ে করেছি। যখন বিয়ের পরিকল্পনা করছিলাম তখনই মা হওয়ার বিয়টি জানতে পারি। সুতরাং, অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি তাই বিয়ে করেছি তা নয়।’
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েছি ততক্ষণ ঘোষণা দেইনি। এটি আমার জীবনের অনেক খুশির সংবাদ। এর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছি। মেডিক্যাল কিছু বিষয় ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটি লুকানোর কোনো কারণ নেই।’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন দিয়া মির্জা। দিয়া-বৈভব দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। বিয়ের পর সব কিছু গুছিয়ে মধুচন্দ্রিমায় মালদ্বীপে যান এই জুটি। হানিমুনে বৈভবের আগের পক্ষের মেয়ে সামায়রাও তাদের সঙ্গে ছিল।
সেখান থেকেই ১ এপ্রিল সাইট ইনস্টাগ্রামে বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করে ভক্তদের মা হওয়ার খবর জানান তিনি। বৈভবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে এটিই দিয়ার প্রথম সন্তান।
২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল হয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন দিয়া। অভিনয় দিয়ে কেড়েছিলেন দর্শকের নজর। তবে জ্বলে উঠতে পারেননি যেভাবে প্রত্যাশা করা হয়েছিল।
শুরুতে সাড়া ফেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিনয়ে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। ২০১৪ সালে ব্যবসায়িক অংশীদার সাহিল সংঘকে বিয়ে করেছিলেন দিয়া। পাঁচ বছরের মাথায় ২০১৯ সালের আগস্টে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন দিয়া ও সাহিল।