1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বরিসের পদত্যাগ চাইছেন দলের নেতারা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে যে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে পানাহারের আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনা সামনে আসার পর তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন খোদ তাঁর দলের নেতারা। এখন বরিসের পদত্যাগ চাইছেন তাঁরা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বরিস জনসনের পদত্যাগ চেয়েছেন; যদিও উপপ্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বরিসের পক্ষ নিয়েছেন।

তবে অনেকে পদত্যাগ দাবি করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির স্কটল্যান্ডের নেতা ডগলাস রোস, আইনপ্রণেতা উইলিয়াম রেগ, ক্যারোলিন নোকস, রজার গ্যালে প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বরিস হাউস অব কমন্সে ক্ষমা চাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রোস। তিনি বলেন, বরিসের সঙ্গে তাঁর ‘শক্ত কথাবার্তা’ হয়েছে। রোস একই সঙ্গে হাউস অব কমন্সের আইনপ্রণেতা এবং স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা।

রোস বলেন, তিনি ‘১৯২২ কমিটির’ কাছে লিখবেন, যাতে বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।

রোস আরও বলেন, বরিস জনসন একজন প্রধানমন্ত্রী। এটা তাঁর সরকার, যারা কিনা আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। কিন্তু যে ধরনের কাজ করেছেন, সে জন্য তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

১৯২২ কমিটি মূলত কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এর আনুষ্ঠানিক নাম কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি। এই কমিটির কাছে যদি দলটির ৫৪ জন আইনপ্রণেতা চিঠি লেখেন, তবে বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

বরিস জনসন ওই পানাহারের আয়োজন করেছিলেন ২০২০ সালের ২০ মে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই আসরে বরিস জনসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন শতাধিক। ওই সময় যুক্তরাজ্যে কোনো আয়োজনে একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি আইনত নিষিদ্ধ ছিল।

গত সোমবার ওই আয়োজনসংক্রান্ত একটি ই-মেইল ফাঁস হলে এ তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এ কারণে লকডাউনের বিধি উপেক্ষা করে এমন আয়োজনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বরিস জনসন এ বিষয়ে আরেকজন জ্যেষ্ঠ আমলা সুয়ে গ্রেকে তদন্তের ভার দিয়েছেন। এ ছাড়া নিজে পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন বরিস। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষোভটা তিনি বুঝতে পেরেছেন।

এদিকে বরিসর এই তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনপ্রণেতা ও হাউস অব কমন্সের সিলেক্ট কমিটির প্রধান উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিষয়টি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর তদন্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে।’

অন্য এক আইনপ্রণেতা ও হাউস অব কমন্সের আরেক কমিটির প্রধান ক্যারোলিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখনই পদত্যাগ করা। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys