নিউজ ডেস্ক: সবুজের বুক চিরে শত কিলোমিটার বেগে বয়ে চলা বাসে তখন চলছে আনন্দের জোয়ার। যে যার মতো গান কৌতুক আর অভিনয়ে মাতিয়ে রেখেছে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের। ছবির মতো আঁকা বাঁকা পথ ধরে, ফসলের মাঠ পেরিয়ে বাস যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই কৌতুহল বাড়ছে উপস্থিত যাত্রীর। সবার মনে যেনো উঁকিঝুকি দিচ্ছে আনন্দ আর হাস্যরসে ভরা সমুদ্র জয়ের আকাঙ্খা।
বর্ননা করছিলাম ফ্রান্সস্থ সাংবাদিক পরিবারের সমুদ্র ভ্রমনের কথা। প্যরিসের উপকণ্ঠ ক্যাথসিমা থেকে রোববার নির্ধারিত সময় সকাল ৯টাই বাস যাত্রা শুরু করে। প্রবাসের আলো সম্পাদক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও এনটিভির ফ্রান্স প্রতিনিধি আবুল কালাম মামুনের পরিচালনায় শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হয়। সবাইকে ফ্রান্সের নিয়ম মেনে আনন্দ উপভোগের আহবান করেন সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতা আবু তাহির। এসময় সারাদিনের কর্মসূচিও বর্ণনা করেন তিনি।
পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি দিয়ে সম্পন্ন হয় সকালের খাবার। ত্রিশ মিনিট বিরতি শেষে ভ্রমনের বাস আবারো ছুটে চলে ফ্রান্সের বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত ফিকম্পের উদ্দেশ্যে। তখন সময় দুপুর দুটো। সাংবাদিক পরিবারের বাস পৌঁছে যায় ফিকম্প সমুদ্র সৈকতে। আনন্দ যেনো আর ধরে না। সবাই উল্লাসে মেতে ওঠেন। শুরু হয় দুপুরের খাবার। খাবার শেষে উত্তাল সমুদ্রের উন্মত্ত ঢেউয়ে গাভাসিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন সবাই। সাংবাদিক পরিবারের সন্তানদের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, নারীদের বালিশ খেলা আর পুরুষদের মোরগ যুদ্ধ অনুষ্ঠানের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
এবার ঘরে ফেরার পালা। বাসের মধ্যে চলা পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। উপস্থিত সব নারী ও শিশুদের জন্য ছিলো আকর্ষণীয় পুরস্কার। ফেরার পথেও ছিলো গান, কবিতা, কৌতুক আর হাস্যরস। ঘড়ির কাটায় যখন রাত দশটা তখন বাস থামে প্যারিসের উপকণ্ঠ ক্যাথসিমায়। একরাশ আনন্দ-উচ্ছাসননিয়ে বাড়ি ফেরে ফ্রান্সস্ত সাংবাদিক পরিবকরের সদস্যরা।
এবারের সমুদ্র ভ্রমণে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সময় টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট লুতফুল রহমান বাবু, এনটিভির বুরো চিপ নয়ন মামুন, দৈনিত যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, যায়যায়দিনের বিনোদন বিভাগের প্রধান সামিরা, সাংবাদিক নূরুল আলম মাসুম, রেজাউল করিম, জিটিভি’র ফ্রান্স প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও কাওসার।