নিউজ ডেস্ক: বলিউড তারকা সারা আলী খান তরুণদের ফ্যাশন আইকন। কিন্তু বলিউডে পা রাখার আগে সারার ওজন ছিল ৯৬ কেজি। আর এই মুহূর্তে পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার সারার ওজন মাত্র ৫০! কীভাবে সম্ভব হলো এই পরিবর্তন? সারার মুখেই ‘ফ্যাট সারা থেকে ফিট সারা’র গল্প।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সারা যখন দেশে ফিরলেন, এয়ারপোর্টে তাঁকে দেখে নাকি মা অমৃতি সিং চিনতেই পারেননি। সেই কথা জানিয়ে সারা বিবিসি এশিয়া নেটওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি মাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে মা আমাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। তখন আমার সুটকেস দেখে চিনেছে। আর ভেবেছে, আমার সুটকেস অন্যের হাতে কেন! পরে ভলো করে তাকিয়ে দেখে আমিই। আর অবাক হয়ে গেছে।’
বাবা সাইফ আলী খানের হাত ধরে ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে এসে সারা জানিয়েছিলেন, তিনি ‘পিসিওডি’ (পলিসিসটিক ওভারি সিনড্রোম) তে আক্রান্ত। ফলে তাঁর শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেশি। তাই তাঁর মোটা হওয়ার প্রবণতাও বেশি।
সেই দিনগুলোর কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে সারা বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু অন্য সব সাধারণ বাচ্চাদের মতোই! ছোটবেলা থেকেই চকলেট আর পিৎজা খুব ভালোবাসতাম। বড় হয়েও সেটা কমেনি। আর বিদেশে পড়তে গিয়ে তো প্রথম তিন বছর চকলেট আর পিৎজাই খেয়ে বেঁচে ছিলাম। সব চকলেট, সব পিৎজা নানাভাবে শরীরে জমে গিয়েছিল। প্রায় ১০০ কেজি ওজন হওয়ার পথে ছিল।’
সারা বলেন, অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন যে ‘হাবিজাবি’ খাওয়া ছেড়ে দেবেন। একদিন তিনি মনস্থির করলেন, আর নয় পিৎজা, পাস্তা বা চকলেট। একজন পুষ্টিবিদের অধীনে, ব্যায়ামের প্রশিক্ষক নিয়ে শুরু হলো তাঁর বলিউডযাত্রার প্রস্তুতি।
সারা বলেন, ‘আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। একে তো খাবারগুলোকে না বলা। তার ওপর হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা। সব ভাজাপোড়া বাদ গেল। যা জীবনেও চোখে দেখিনি, সেগুলো ভালোবাসা শুরু করলাম। চকলেটের বদলে সালাদ খেতাম। দিনে দুই বেলা চার ঘণ্টা করে ওয়ার্কআউট করতাম। আমার প্রতিটি মিনিট ছিল ছকে বাঁধা।’
এই মুহূর্তে সারাকে কেবল ফ্যাশন আইকন বললে ভুল বলা হবে, তিনি একই সঙ্গে ফিটনেস আইকনও।