নিউজ ডেস্ক: র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। এর জের ধরে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এরইমধ্যে পরীর সহযোগি রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার কথিত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকেও আটক করেছে র্যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, পরীর ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন- পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সঙ্গে ঘুরতে যান।
এদিকে পরীমনিকে গাড়ি উপহার দেয়া একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পরীর বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব।
সূত্রে জানা গেছে, পরীমনিকে গ্ল্যামার জগতে নিয়ে আসেন রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার কথিত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। সিনেমায় নাম লেখানোর আগে দীর্ঘদিন তার কাছেই থাকতেন পরী।
পরীমনি ছাড়াও সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ ও তাদের একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাসা থেকে মদ, ইয়াবা, গাঁজা ও সিসা উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার হালে আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র্যাব। সেখান থেকেও বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
পিয়াসা-মৌয়ের একটি বড় চক্র রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ অপরাধে লিপ্ত। ভাসমান পতিতা পল্লীর আদলেই নিজেদের ‘আস্তানা’ তৈরি করেন। বাসায় ও বিভিন্ন ক্লাব-বারে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণদের নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করেন। সেখান থেকে আমন্ত্রণ জানান নিজেদের বাসায়।
জানা গেছে, আর সেই আমন্ত্রণে যারাই সাড়া দেন, তারাই মূলত ফাঁদে পড়ে যান। এই চক্রের কোনো নারী সদস্যের বাসায় কোনো তরুণ এলে নানা ধরনের মাদক সেবন করানো হয়। ফুর্তির এক পর্যায়ে তাকে কৌশলে নির্জন কক্ষে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরিণত হয় ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ারে। সেই ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে পরিবারের কাছে ছবি-ভিডিও পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়। এভাবেই এই চক্রটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে।