1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

দোকানে দোকানে পণ্য সরবরাহ করছেন করোনা রোগী!

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। কিন্তু আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিত না করায় হাট-বাজারসহ পাড়া-মহল্লায় করোনা রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার ফুলবাড়ী পৌরশহরে এক করোনা রোগীকে দেখা গেছে দোকানে দোকানে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করতে।

জানা গেছে, খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা ওই করোনা রোগীর নাম ফরহাদ হোসেন (২৮)। তিনি তাহমিদ এন্টারপ্রাইজের প্রাণ গ্রুপের পণ্যের সেলসম্যান। তার বাড়ি পৌর এলাকার চকচকা গ্রামে। তিনি গত ২৮ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে করোনা শনাক্ত হন। তবে তিনি বিষয়টি গোপন করেছেন। জানেন না তার প্রতিবেশীও। এমনকি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তার সহকর্মীরাও বিষয়টি জানেন না। তিনি পাড়া-মহল্লাসহ হাট-বাজারে ঘুরছেন দেদারসে। এ ছাড়া তিনি পিকআপে বিভিন্ন খাবারের পণ্য নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন দোকানে।

অন্যান্য জেলা-উপজেলায় করোনা রোগীদের বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হলেও ফুলবাড়ীর চিত্র ভিন্ন। বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা ও সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে।

জানা গেছে, ফুলবাড়ীতে মানুষ অবাদে চারপাশে চলাফেরা করে অসুস্থ হচ্ছেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলেই করতে হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষা করলেই ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষেরই করোনা শনাক্ত হচ্ছে। তারপর সেইসব রোগীদের মুঠোফোনে এসএসএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে তিনি করোনা পজেটিভ। কিন্তু অনেক অসচেতন ব্যক্তি সেই রিপোর্টকে আমলে না নিয়েই দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবখানে। চায়ের দোকানে কিংবা হাট-বাজারের ভিড়ে দেখা মিলছে সেসব করোনা পজিটিভ রোগীদের। প্রতিবেশীরাও মেলামেশা করছেন অজান্তেই। এভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, শুরুতে করোনা রোগীদের বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতার কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তারা যদি করোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেন, তাহলে প্রতিবেশীসহ সকলে সতর্ক থাকবেন।

করোনা শনাক্ত রোগী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পজেটিভ হওয়ার ২০-২৫ দিন হয়ে গেছে। এখন আমি সুস্থ বললেই মানুষ পালিয়ে যান।’

তাহমিদ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারীর বড়ভাই কলেজ লাইব্রেরীর সত্ত্বাধিকারীর দারুল ইসলাম জানান, ফারহাদ হোসেন প্রাণ গ্রুপের সেলসম্যান। তার করোনা পজিটিভ এসেছে। সে বিষয়টি তিনি আজও কাউকে জানায়নি। তিনি করোনা নিয়েই দোকানে দোকানে পণ্য সরবরাহ করেছে। বিষয়টি জানার পর তাকে বাসায় চলে যেতে বলা হয়েছে। তার কারণে আমাদের পরিবার-পরিজনসহ কর্মচারীরা ঝুঁকি ও আতঙ্কে রয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাসা-বাড়ি চিহ্নিত করলে তারা সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই আর কোনো করোনা শনাক্ত রোগীর বাড়ি চিহিৃত করা হচ্ছে না। তবে যে সকল করোনা রোগী বাহিরে চলাফেরা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, করোনা রোগী বাজারে পণ্য সরবরাহ করছে জানতে পেয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys