নিউজ ডেস্ক: গত শনিবার রাজধানীর টোলারবাগে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এক চিকিৎসক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসক, ১২ জন নার্স ও তিনজন কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল। তাদেরই একজন পরীক্ষায় ‘করোনাভাইরাস পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এছাড়া কোয়ারেন্টিনে আছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক।
আক্রান্ত ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষায় নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। শরীর কিছুটা দুর্বল। এখনও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন’
এদিকে অসুস্থ্য বোধ করায় রোববার থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ডেল্টা হাসপাতালের পরিচালক ডা. বদিউজ্জামানও। তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে আমার কাছেও প্রবলেম মনে হচ্ছে। বাসায় আছি একেবারেই একা। কাউকে সঙ্গে রাখি নাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৭ জন আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যু খবর রোববার জানিয়েছিল আইইডিসিআর। তবে গত রাতে টোলারবাগে ৭৬ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় যিনি আগের দিন মারা যাওয়া বৃদ্ধের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
পুলিশের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী রোববার রাতে বলেন, দ্বিতীয় বৃদ্ধেরও করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিল বলে আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে আইডিসিআরের বক্তব্য জানা যায়নি।