নিউজ ডেস্ক: মরিচাপড়া খাঁচার ভেতরে আতঙ্কিত কুকুর, বিড়াল ও খরগোশ রাখা আছে বিক্রির জন্য। পাশের খাঁচায় রাখা আছে বাদুড়। বিক্রির জন্য রাখা আছে বিছা বা বিচ্ছু।
খরগোশ, কুকুর, বিড়াল, হাঁসসহ অন্যান্য প্রাণী হত্যার পর মাংস কেটে কেটে আলাদা করা হচ্ছে বাজারের ভেতরেই। আর সেসব প্রাণীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে দোকানঘরের পাকা মেঝে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিস্থিতি, সেই চীনেই কিনা জীবাণুমক্ত থাকার ব্যাপারে কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। যে বাদুড়ে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানিরা, এখনো বাদুড় বিক্রি চলছে এবং মানুষ তা কিনে খাচ্ছে।
অথচ, কিছুদিন আগেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমে উহান ও পরে পুরো চীনে লকডাউন করতে হয়েছিল। কিন্তু গত শনিবারই চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইলিনের বাজারে এভাবে বন্যপ্রাণী বিক্রি করতে দেখেছেন ডেইলি মেইলের সাংবাদিক।
ডেইলি মেইলের আরেক সাংবাদিক চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ডংগুয়ান এলাকার মাংস বিক্রির একটি বাজারের পাশে ফুটপাতের এক কবিরাজকে দেখেছেন। যিনি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, নানা রকমের সমস্যার প্রাকৃতিক ওষুধ হলো- সাপ, ব্যাঙ, বাদুড়, টিকটিকি, আরশোলা, বিছা।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ লকডাউনে থাকার পর দেশের অর্থনীতি চাঙা করতে মানুষজনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বলছে চীন সরকার। গত সপ্তাহ থেকে চীনে সরকারি হিসাবে সেভাবে আক্রান্ত নেই বললেই চলে।
গত শনিবার থেকেই গুইলিনের বাজার চালু হয়েছে। চালু হতেই কুকুর ও বিড়ালের টাটকা মাংস বিক্রি চলছে। ছবিগুলো তুলে পাঠিয়েছেন চীনে নিযুক্ত ডেইলি মেইলের সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, এখানে সবাই বিশ্বাস করে যে করোনার প্রভাব চলে গেছে। এ নিয়ে আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা এখন অন্য দেশের মানুষের সমস্যা।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে যেভাবে মাংস বিক্রির বাজার চলতো, এখন আবার সেভাবে বিক্রি চলছে। বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে গৃহপালিত প্রাণী দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল