1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

গুলশানে ভবনে অগ্নিকাণ্ড: ১২ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন আনোয়ার

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় ১২তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন আনোয়ার নামে এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগে এসে আনোয়ারের লাশ শনাক্ত করেন ছোটভাই জুলহাস। তিনি জানান, গুলশানের ওই ভবনে একমি গ্রুপের পরিচালক ও আবাহনী ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন আমার ভাই। ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, তাদের বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান থানার দিদারুল্লা গ্রামে। পিতার নাম মো. নুর ইসলাম। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। নিহত আনোয়ারের স্ত্রী আমেনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন জুলহাস।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের সাততলার বেলকনি থেকে লাফিয়ে নিচের সুইমিংপুলে পড়েন ফাহিম সিনহার স্ত্রী শামা রহমান সিনহা (৩৭)। তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শামা রহমান ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন।

তার শরীরে গুরুতর জখম আছে। পিঠের দিকে তিনি সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

ফাহিম সিনহার ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গুলশানের ওই ভবনটির ১২ তলায় থাকেন ফাহিম, তার মা নাগিনা আফজাল সিনহা, স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে। ওই বাসার বাবুর্চি রাজু (৩২) ও গৃহকর্মী রোজিনা আক্তারও (২২) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন। রাজু সিকদার হাসপাতালের আইসিইউতে ও রোজিনা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বজনরা জানান, আগুন লাগার পর শামা তার ৩ সন্তান ও শাশুড়িকে লিফটে নিচে নামিয়ে দেন। লিফট আবার ১২ তলায় উঠলে তিনি নামার চেষ্টা করেন। সে সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় সপ্তম তলায় তিনি আটকা পড়েন।

তখন লিফট থেকে বের হয়ে ৭ তলার বেলকনির পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আগুন বাড়তে থাকলে শামা সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে ভবনের নিচে সুইমিং পুলে পড়েন।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা ভবনের ৭ম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে মোট ১৯টি ইউনিট নেভানোর কাজে যুক্ত হয়। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রোববার রাত ১১টার দিকে গুলশানের বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগা ভবনের কয়েকটি ফ্লোর থেকে নারী শিশুসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, আগুনের ঘটনায় ভবনটি থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৭ জন।

গুলশানে আবাসিক ভবনে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
রোববার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।

তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন- পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য হিসেবে থাকবেন উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স), সহকারী পরিচালক, ঢাকা, গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক এবং স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys