নিউজ ডেস্ক: কলকাতার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্করণসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গত দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার একটি রিয়েলিটি শো-তে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শুটিং চলাকালে আক্রান্ত হন হদরোগে।
পরে বাড়ি ফেরেন। পরিস্থিতির অবনতি হলেও হাসপাতালে যেতে চাননি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ বিনোদন অঙ্গন।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। আর ৫৭তম জন্মদিনের মাত্র তিন সপ্তাহ পরই মৃত্যু হলো তাঁর।
চার দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ার অভিষেকের। তবে বড় পর্দার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের ‘ড্যাডি’ হিসেবে। অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ‘গুনগুন’ তথা তৃণা সাহা।
আনন্দবাজার পত্রিকাকে তৃণা বলেন, ‘পর্দায় অভিষেকদা যেমন আমার ড্যাডি ছিল, পর্দার বাইরেও ড্যাডির মতোই ছিল। পরশু দিনও শুটে আমি খুব বকাবকি করেছি। শরীরের একদম যত্ন নিচ্ছিল না।’
একসময় বাংলা সিনেমায় প্রচুর কাজ করেছেন অভিষেক। বিশেষ করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে বহু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং দূরে সরে যান কাজ থেকে। কয়েক বছর ধরে বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
১৯৮৬ সালে ‘পথভোলা’ সিনেমা দিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল অভিষেকের। ২০২১ সালেও তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
অভিষেক অভিনীত সিনেমার মধ্যে রয়েছে—গীত সংগীত, লাঠি, সুজন সখী, জয়বাবা ভোলানাথ, বাদশা, তুমি কত সুন্দর, মায়ের আশীর্বাদ, অমর প্রেম, তুফান, সুরের আকাশে, মায়ের আঁচল, বাড়িওয়ালা, আলো, দহন, মধুর মিলন প্রভৃতি।
সম্প্রতি ধারাবাহিক টাপুর টুপুর, মোহর, কুরুক্ষেত্র, চোখের তারা তুই, অন্দরমহলসহ বেশ কিছু টেলিফিল্মে অভিনয় শুরু করেছিলেন এবং সেখানেও দর্শকের মন জিতে নেন অভিষেক।