1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

দুপুরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে রেলভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীবাহী মোট ট্রেন রয়েছে ৩৬৪টি। এরমধ্যে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও ডেমোসহ ২৫৭টি ট্রেন আজ ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

একইসঙ্গে আজ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌচলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আজ বিকেল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকরাও একমত হয়েছেন। যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রামণরোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ (লকডাউন) থাকবে। মঙ্গলবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার দেশবাসী, জনগণ, যাত্রীসাধারণ, মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছে যে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহণ-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না বলেও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটি এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মূলত ২৬ মার্চ থেকেই সারাদেশের সরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সরকারি অফিসগুলো খোলা থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে সেনাবাহিনী। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।’

এদিকে আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধের কার্যক্রমে দেশের সব জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল শুধুই দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতি মিনিটে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৩ এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ৫৫৮ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন।

করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। এছাড়া মুলতবি করা হয়েছে জামিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজ। এমনকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys