নিউজ ডেস্ক: মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির আইনি পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ব্রিটেনের একটি বিশেষজ্ঞ দল বলছে, বছরখানেক আগে তার (মুরসি) ছোট ছেলেকে প্রাণঘাতী পদার্থ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য ওই বিশেষজ্ঞ দলের কাছে রয়েছে বলে মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে দাবি করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মিসরের রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে গিজার একটি হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণকে মৃত পাওয়া যায়। এর আগে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তখন কায়রোতে তার আইনজীবী আবদলে মাকসুদ বলেন, বন্ধুর সঙ্গে গাড়ি চালানোর সময় আবদুল্লাহর হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। তার বন্ধু তখন গাড়ি থামিয়ে তাকে আল-ওয়াহা হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকেরা তার জ্ঞান ফেরাতে পারেননি।
আবদুল্লাহর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে রোববার তার আইনি দল জানায়, এমন কিছু তথ্য হাতে মিলেছে, যাতে এই মৃত্যুর ঘটনায় নতুন কারণ পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, শরীরে বিষাক্ত পদার্থ ঢোকানোর পর ২০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই তাকে কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়নি।
আইনি দলের প্রধান টবি ক্যাডম্যান বলেন, তার মৃত্যুকে ঘিরে এখনো অনেক রহস্য রয়ে গেছে। এখনো বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি। আবদুল্লাহ মৃত্যুর ভয় নিয়ে দিন পার করছিলেন।
২০১৯ সালের জুনে আদালত কক্ষে প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যুর পর আবদুল্লাহ অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের তিনি দায়ী করেছিলেন।
তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ তাউফিক, তার পূর্বসূরি মাজদি আবদেল গাফফার, মোহাম্মদ শিরিন ফাহমি ও মামলার বিচারকের বিরুদ্ধে তার বাবাকে হত্যার অভিযোগ করেন।
মুরসি ছিলেন মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট। পরবর্তীতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তখনকার সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।