যে পথ ছিল আলো ঝলমলে। সে পথ এখন সুনসান। যেখানে চায়ের আড্ডায় ঘড়ির কাটার সীমা ছিল না। চুমুকে চুমুকে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজের নানা রুপ ভেসে উঠতো কফিশপ গুলোতে। এখন সময় অন্যরকম। ভয়! জীবনের। প্রতিটি মানুষ এখন তালাবদ্ধ জীবন পার করছে। কি মন্ত্রী, কি দিন মজুর।
সবার জীবন-যাপন যেন এক করে দিল। করোনা! এর শেষ কোথায়? বড় বড় ডাক্তার, গবেষক হাঁপিয়ে উঠছে। পেরে উঠছে না এই মারন ভাইরাস করোনার কাছে। সত্যি খুবই জানতে ইচ্ছা করে এর শেষ কিভাবে হবে কখন। কিন্তু কোন উত্তর আসে না। শুধু চােখে পড়ে লাশের সারি। চোখ বেয়ে পানি পড়ে যায়। এমন কি হওয়ার কথা ছিল?
এটা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাস শীতের দেশেই সহজে বিস্তার লাভ করে আর গরমে টিকতে পারে না—এ প্রশ্নটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে আলোচিত হচ্ছে। তবে দেখতে হবে করোনাভাইরাসটি কোথা থেকে কোথায় যায়। এটা পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো করে বিশ্লেষণ করে তবেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বিবিসি তার এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য জন্য ব্রিটেন যে কৌশল নিয়েছে সেটি হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যাতে হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ না হয়ে যায়। হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে আইসিইউতে জায়গা পাওয়া যাবে না। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্সি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কখন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া সম্ভব নয়।
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, “আমরা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার কথা বলছি যাতে করে দেশের একটি কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়।”
” আমরা যদি দুই বছরের বেশি সময় যাবত এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।”
কিন্তু এ কৌশলের মাধ্যমে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতদিন টিকবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরণের যেসব সংক্রমণ হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুব ভালো কাজ করেনি। অনেকে মানুষ তাদের জীবনে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে।