নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি আবিস্কৃত হওয়া ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক রোগ এর নাম COVID-19। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নতুন ভাইরাস এবং রোগটি অজানা ছিল। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের কাছ থেকে অন্যরা COVID-19 এ সংক্রামিত হতে পারে।COVID-19 আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সময় নাক বা মুখ থেকে নিঃসৃত ছোট ছোট ফোঁটাগুলির মাধ্যমে এই রোগটি একজন থেকে অন্য জনের মাঝে ছড়ায়। এইজন্যই অসুস্থ ব্যক্তি থেকে ১ মিটার (৩ ফুট) বেশি দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতো ফ্রান্সে গত ১৬ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারনে জরুরি অবস্থা বা লকডাউন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার আক্রান্ত ও পঁচিশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সের করোনা মহামারী ধীরে ধীরে কমে আসায় আগামী ১১ মে লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। লকডাউন উঠে যাবার পর ফ্রান্সের মেট্রো, ট্রেন, বাস, ট্রাম স্টেশনগুলোতে মাস্ক বাধ্যতামূলক পরতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় অভার ভিলা সিটি করর্পোরেশন এর উদ্যোগে Auber Solidaire COVID-19 মাস্ক তৈরির কার্যকর্ম হাতে নিয়েছে। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্স-র সমন্বয়ে ও ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন ফ্রান্সে-র সার্বিক সহযোগিতায় একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মাস্ক তৈরির কাজে অংশ নিয়েছেন। এই কাজে সহযোগিতা করেছেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্স সংসদের সভাপতি কিরণময় মন্ডল। আরো সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন ফ্রান্স-র সভাপতি এলান খান চৌধুরী। এবং এই কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মাস্ক তৈরিতে নিরলস প্ররিশ্রম করেছেন- এ. এম. আমান উল্লাহ, শিরিন আক্তার, আবজাল আল মামুন, শাহেদ আহমেদ, আবদুল্লাহ মামুন, নয়ন দাস, আতিক আলাউদ্দীন, মঈনউদ্দিন, কাইয়ুম, প্রমুখ। এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য অভার ভিলার মেয়র সবার ভূয়সী প্রশংশা করছেন এবং ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন ফ্রান্সে-র সভাপতি আগামীতে আরোও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।