নিউজ ডেস্ক: ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং যুগে যুগে তার ক্রীড়া নৈপুণ্য ভবিষ্যত ফুটবল খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী এই ফুটবল মহানায়কের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে অবসাদ, অ্যানিমিয়া এবং ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ নিয়ে লা প্লাতা একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা গিয়েছিল, তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। সেজন্য বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে বুয়েনস আয়ার্সের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। চলতি মাসের গোড়ার দিকে সেখানেই ম্যারাডোনার জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। তারপর থেকেই বাড়ি যাওয়ার জেদ ধরেছিলেন। কিন্তু ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। কয়েকদিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সেই অস্ত্রোপচার এতটাই জটিল ছিল যে ম্যারাডোনার ম্যানেজার মাতিয়াস মোরলা জানিয়েছিলেন, সেই সময়টা সম্ভবত ম্যারাডোনার জীবনের ‘কঠিনতম মুহূর্ত’ ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (অস্ত্রোপচার) তার জীবন নিয়ে নিতে পারত।’
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন ম্যারাডোনা। খবর দেওয়া হয় হাসপাতালে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেও যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবলের রাজপুত্র। সে কথা নিশ্চিত করেছেন তার এজেন্ট মাতিয়াস মোরলা। অথচ সপ্তাহদুয়েক আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যারাডোনা ভালো ছিলেন। নিজের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইচ্ছুক ছিলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
কিংবদন্তির প্রয়াণে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া। তিনি বলেন, ‘ডিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা…আপনি সর্বদা আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’