পর্তুগাল ইউরোপের যে দেশগুলো সর্বোচ্চ ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে কাজ করে তাদের সংগঠন ডি-৯+ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এ দেশগুলি হল ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ড ,লুক্সেমবুর্গ, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ইস্তূনিয়া অতঃপর চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড এবং পর্তুগাল।
ইউরোপীয় ইনোভেশন স্কোরবোর্ডের ২০২০(ই আই এস ২০২০) সালের সংস্করণ অনুসারে পর্তুগাল একটি শক্ত উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উদ্ভাবনী ইনডেক্সে পর্তুগাল প্রথম অবস্থানে রয়েছে এবং সব মিলিয়ে সবগুলো ক্যাটাগরিতে গড় হিসেবে পর্তুগালের অবস্থান ১২ তম এবং প্রতিবেশী দেশ স্পেন আরও দুই ধাপ নিচে রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া।
পর্তুগাল সরকারের স্টেট ফর ডিজিটাল ট্রানজেকশন এর সেক্রেটারি আন্দ্র্যে দে আরাগাও আযেভেডো খুব জোর দিয়ে বলেছেন এই অগ্রগতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি যাতে পর্তুগাল ইউরোপের ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পায় তাছাড়া ডি-৯ প্লাসে প্রবেশ খুবই প্রাসঙ্গিক যখন আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
২০১৪ সালের পর থেকে পর্তুগাল অর্থনীতির সবগুলো প্রান্তিকে খুব ভালো ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, এবং মহামারী শুরুর আগ পর্যন্ত এর ধারা অব্যাহত ছিল , যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ২০১৯ সালের উদ্বৃত্ত বাজেট যা পর্তুগালের স্বাধীনতার ৪০ বছরে এই প্রথম। তবে ২০১৯ সালের পূর্বের ৪/৫ বছর ঘাটতি বাজেট থাকলেও তা পরিমাণে খুবই সামান্য ছিল। সুতরাং এটি অনুমান করা যায় পর্তুগাল তার সঠিক পথে ছিল এবং মহামারী এসে তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো পর্তুগালকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন দাঁড় করিয়েছে। তথাপি পর্তুগাল তার পূর্বের রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী বছরের শুরুর দিকে মহামারীর একটা সমাধান করা গেলে খুব দ্রুতই পর্তুগালের অর্থনীতি আগের অবস্থানে ফিরে আসবে তা প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় জানিয়েছেন।