নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বিভিন্ন ধরনে গাড়ি দিয়ে দগ্ধদেরকে একে একে ৩৮ জনকে আনা হয় ঢাকার জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এখানে আসার পর থেকেই জরুরি বিভাগে দগ্ধদের সবার মুখে একটি কথা- বাঁচাও বাঁচাও। তারা চিৎকার করে বলছেন, আমাকে বাঁচাও।
দগ্ধদের সঙ্গে আসা স্বজনরাও কান্নাকাটি ও দগ্ধদের বাঁচানোর জন্য ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসার জন্য আকুতি মিনতি করছেন। হঠাৎ করে এত দগ্ধ রোগীর উপস্থিতিতে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে থাকেন। দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালের পরিচালক অতিরিক্ত ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীর ব্যবস্থা করেছেন।
দগ্ধদের একই কথা, আমাকে আগে চিকিৎসা দাও। আমার শরীর জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবেই একের পর এক রোগী আর্তনাদ করে তার বলেই যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটে পরিচচালক ডা.আবুল কালামের কাছে দগ্ধ রোগীদের সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের এই হাসপাতালে ৩৮ জন দগ্ধ রোগী এসেছেন। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত নন। তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে যা চিকিৎসা দেয়ার দরকার তা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করে এত রোগীর চিকিৎসা প্রদান একটু সময়সাপেক্ষ। তিনি আরো বলেন, এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্হায় দগ্ধ জুবায়ের নামে এক শিশু রাতে মারা গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৩৮ জনের মধ্যে একটি শিশু মারা গেছে। অন্য সবাই বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছেন। জরুরি বিভাগে যেসব চিকিৎসক ছিলেন, তারা দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। পরে খবর দিয়ে আনা হয় অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে বাড়তি চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীকে। তারা সবাই দগ্ধদের চিকিৎসায় সহায়তা করছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও।
দগ্ধ সবাইকে পাঁচ তলায় পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে যাদের আইসিইউ ও এইচডিইউ লাগবে, তাদেরকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে।