নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৭১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৭৫ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৩ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। এঁদের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৭৫ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৬ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়ে ১৪ হাজার ৬৬৪টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ১৭১ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৬৭৫ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টি।

জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষায় আরেকটি ল্যাব যুক্ত হয়েছে। এটি হচ্ছে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ। এ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় দেশে ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬টিতে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৫৫৭ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২১৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৫৩৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন সাত হাজার ৮৯৩ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৪টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৬০২ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৬ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ছয় হাজার ২৭ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৩৮ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৭টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো চারজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ২৯৫ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।