নিউজ ডেস্ক: বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আর তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার গুলশানের নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে (খালেদা জিয়াকে) মুক্তি দেবেন।
বিশ্বজুড়ে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে করোনাভাইরাসে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সেজন্য ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপি।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর গুলশানে নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’তেই উঠবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাই শামীম ইস্কান্দর গণমাধ্যমকে বলেন, তার বোন মুক্তি পাওয়ার পর নিজের বর্তমান বাসভবন ফিরোজাতেই উঠবেন।
শামীম ইস্কান্দর জানান, তিনি এখনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার বোনের মুক্তির বিষয়টি শোনেননি।
তবে তিনি বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পাওয়ার পর এখন যে বাসভবন ফিরোজা সেখানেই উঠবেন। আর বিষয়টি এখনও তাকে জানানো হয়নি।’
এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে, তা এখনও বলতে পারেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র বিষয়টি জেনেছি। এখনও এ বিষয়ে আলোচনা করিনি।