নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাজ্যে যাবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান। এদিকে আজ সকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের শোক বার্তায় স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসনের বাসভবনে প্রয়াত রানির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সাধারণত লন্ডনে অবস্থান করে থাকেন। সেখান থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর তার নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানে একদিন বাড়তি থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করবেন। এরমধ্যে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে বরাবরের মতো বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ সরকার প্রধান।
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলঙ্কৃত করে রেখেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মাস কয়েক আগেই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিলো। গত ৯ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে গোটা ব্রিটেন। ঘোষণা করা হয়েছে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রাজপরিবারের সদস্য, রাজনীতিক ও বিশ্বনেতারা অংশ নেবেন। এরপর রানির কফিন পশ্চিম লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে নিয়ে সমাহিত করা হবে।
এদিকে রানির মৃত্যুর পর সেন্ট জেমস প্রাসাদে এক রাজকীয় অনুষ্ঠানে রাজা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন চার্লস তৃতীয়। শপথ গ্রহণের পর তিনি সমবেত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্বোধন করে, রাজা চার্লস তার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এবং তার স্ত্রী রানি ক্যামিলার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২০০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি।