নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী নারী নন, প্রতারণা করা হয়েছে তার সঙ্গে এমন অভিযোগ এনে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ডিভোর্স চেয়ে আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি। বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই নারীকে মেডিকেল রিপোর্টসহ জবাব দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বছর ২৯ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করেন ওই ব্যক্তি। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও এমএম সুন্দ্রেশের গঠিত বেঞ্চ বিষয়টি আমলে নিয়ে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) ওই নারীকে তার স্বামীর পিটিশনের জবাব দিতে বলেছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই নারীকে তার মেডিকেল রিপোর্টসহ যাবতীয় তথ্যাদি এবং যথোপযুক্ত জবাব দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির পিটিশনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ওই নারী তার স্বামীর কাছ থেকে নানা অজুহাতে দূরে থাকেন। ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর সংস্পর্শে গেলে বুঝতে পারেন তিনি অন্য নারীদের মতো নন। পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং পরীক্ষা করান।
মেডিকেল রিপোর্টে দেখা যায় যে, তার ‘ইমপারফোরেট হাইমেন’ অর্থাৎ অসম্পূর্ণ হাইমেন অবস্থা রয়েছে ৷ চিকিৎসক তাকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওই নারীর রুপান্তর ঘটলেও সন্তান জন্ম দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানান চিকিৎসক।
মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন বলে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে পাঠান এবং তাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি ৷