নিউজ ডেস্ক: কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা শ্রাবন্তী গতকাল আবারও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। বেজি কাণ্ডে এ নিয়ে তৃতীয়বার তাকে তলব করা হয় তাকে। এদিন টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। অভিনেত্রী দোষী প্রমাণিত হলে ৪ বছরের জেলও হতে পারে বলে জানা গেছে। ছবির শুটিংয়ে গিয়ে গলায় শিকল বাঁধা বেজির সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন শ্রাবন্তী। সেই শুটিংয়ের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদেরও ডেকে পাঠানো হয়। গত ৮ মার্চ ও ৯ মার্চ তাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। সেই বয়ান খতিয়ে দেখে বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে আসে তদন্তকারীদের মনে।
সেই কারণে ফের শ্রাবন্তীকে তলব করা হয়। রেকর্ড করা হয় তার বয়ান। গত ৯ তারিখ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় গাড়ির চালক ভরত হাতিকে। আজ (মঙ্গলবার) ফের আদালতে তোলা হবে ভরতকে।
পাশাপাশি শ্রাবন্তীও বিধান নগর কোর্টে হাজিরা দেবেন। সেখানে রেকর্ড করা হবে তার জবানবন্দি। ভারতের বন্য প্রাণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া চালকের নাম ভরত হাতি। শ্রাবন্তী এখন যে প্রযোজনা সংস্থার হয়ে কাজ করছেন, ভরত ওই সংস্থারই কর্মী। শ্রাবন্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। গত বুধবার ভরতকে গ্রেপ্তার করে বন্য প্রাণ বিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা। নেপালগঞ্জে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বেজিটি। অনেক দিন ধরেই বেজিটিকে পোষ্য হিসেবে নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন ভরত। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান বেজিটি তার গাড়ির ড্রাইভার ভরত হাতির। শুটিংয়ে ভরত বেজিটিকে নিয়ে আসে এবং শ্রাবন্তী কেবল তাকে আদর করে একটি ছবি তোলেন। তারপরই ভরত হাতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু অসঙ্গতি উঠে আসে তার উত্তর থেকে। ভারতের একটি বাংলা গণমাধ্যম বলছে, কথায় অসঙ্গতির অভিনেত্রীকে আবারও ডেকে পাঠানো হয় ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের দফতরে। এরপর যদি অভিনেত্রী দোষী প্রমাণিত হন তাহলে ৪ বছরের জেল হেফাজতেও থাকতে হতে পারে তাকে।