1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে টাকার বিনিময়ে করোনার ‘নেগেটিভ সনদ’ দিতেন তারা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদপত্র বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জালিয়াতি চক্রের এই সদস্যরা করোনার নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা সংগ্রহ করতেন। তারপর নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের ফোন করে করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা বলতেন এবং টাকা দিলে নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অফার দিতেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ বিক্রি করা চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানান নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল। তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাতে নগরীতে অভিযান চালিয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়ক তারেক আহসান (৪১), তার সহযোগী রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক রফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখাকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে একটি চক্র বিদেশগামী মানুষের কাছে টাকার বিনিময়ে করোনা পরীক্ষার জাল সনদ বিক্রি করছে। এই চক্রটি প্রতি জনের কাছ থেকে তিন থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সনদপ্রত্যাশীর নাম-ঠিকানা লিখে করোনার নেগেটিভ সনদ দিচ্ছিলেন তারা। চক্রের সদ্যেদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে দেখা গেছে, তারা রাজশাহী সিভিল সার্জনের স্বাক্ষরও জাল করেছে।’

তিনি জানান, জালিয়াতি চক্রটির মূলহোতা ছিলেন তারেক আহসান ও তার সহযোগী রফিকুল ইসলাম। এই দুজন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা মানুষগুলোর তালিকা সংগ্রহ করতেন। এরপরে টাকার দেন-দরবার করতেন রাকিবের স্ত্রী সামসুন্নাহার শিখা। তিনি করোনার নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের ফোন করে বলতেন, ‘আপনার করোনার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। টাকা দিলে নেগেটিভ করে দেওয়া হবে।’ এ নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে টাকার বিষয়টি মিটমাট করতেন তিনি। পরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিতেন। যেসব বিদেশগামী মানুষ করোনার নমুনা দিতেন, তাদের মাত্র ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় থাকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার। তাই তারা বেশি চাপে থাকতেন। আর এই সুযোগটি কাজে লাগাত চক্রটি। চক্রটি গত চার মাস থেকে করোনা সনদের এই অভিনব প্রতারণা চালিয়ে বিদেশগামী মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চক্রটির কাছ থেকে ১০০টি করোনা নমুনার জাল সনদ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘এই কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা আরও ৩-৪ পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys