নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি লিটন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, (০১) কাদের খান (০২) কাদের খাঁনের পিএস শামছুজ্জোহা (০৩) গাড়ী চালক আব্দুল হান্নান (০৪) কাদের খানের ভাতিজা মেহেদি (০৫) ডিস ব্যবস্যায়ী শাহিন (০৬) চন্দন কুমার রায় (০৭) আনোয়ারুল ইসলাম রানা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রেলস্টেশন, চায়ের দোকানসহ গোটা সুন্দরগঞ্জে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিলো। আদালত এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নেয়া হয়েছিলো বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, রায়কে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই সমগ্র জেলাকে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রাখা হয়েছে।
রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সকাল সাড়ে ১১ টায় আদালতে হাজির করা হয়।
উলেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ঘটনায় পরের দিন সন্ধ্যায় প্রথমে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে তার বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। তদন্ত শেষে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাদের খাঁনকে। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানাও মামলার আসামি হিসেবে একই কারাগারে বন্দি আছেন। আরেক আসামি শ্রী সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে মারা গেছেন। পলাতক আছেন আসামি শ্রী চন্দন কুমার রায়। মামলার আসামি ও বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আদালত আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।