নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর পরদিন ১১ আগস্ট থেকে খুলবে অফিস ও দোকানপাট। তবে দোকান খোলার আগে ৭, ৮, ৯ আগস্টের মধ্যে দোকানিদের নিতে হবে করোনার টিকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘১০ আগস্টের পর পরদিন ১১ আগষ্ট থেকে খুলবে অফিস ও দোকানপাট। তবে দোকান খোলার আগে ৭, ৮, ৯ আগস্টের মধ্যে দোকানিদের নিতে হবে করোনার টিকা।’
অফিস খোলার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এখন মানুষ আগের মতো অনলাইনে অফিস করবে। আর ১১ তারিখ থেকে যথারীতি অফিস খোলা হবে। তারপরও এই কয়েকদিনে বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে এ বিষয়ে সার্কুলার দেওয়ার জন্য। এরপর যদি কোনো সংশোধন করার দরকার হয় সেগুলো বাস্তবতার নিরিখে প্রাধন্য দেওয়া হবে।’
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘আজকে যে সিদ্ধান্ত নেও্য়া হলো সেটা পরিবর্তন হতে পারে। এটার সুফল কেমন হয়। এটা চলমান প্রক্রিয়া। এটা বছরব্যাপী চলবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবে, কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে।’
শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি।’
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন শিথিলের পর গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের দেশে কঠোর লকডাউন চলছে, যা শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। তবে শ্রমিকদের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা না করেই শিল্পকারখানা খুলে দিয়ে যে চরম অব্যবস্থাপনা সরকার করেছে, তার কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।