1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

স্পেনের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জিনাত শফিকের অজানা গল্প

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০
জিনাত শফিক

সুরাইয়া নাজনীন-

 

জিনাত শফিক। তিনি ছুটে চলছেন অদম্য গতিতে। সৃজনশীল এবং জ্ঞানমূলক কাজ নিয়ে তাঁর প্রতিভা বিকশিত হচ্ছে স্পেনের মাটিতে। স্পেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুপরিচিত নাম। তাঁর জানা অজানা গল্পগুলো বলেছেন ‘আমাদেরকথার’ সঙ্গে

লন্ডন যাওয়ার জন্য ব্যাগ প্যাক করছিলেন জিনাত শফিক, সেই সময়টাতেই ফোন দেয়া, তবুও তিনি সময় দিলেন, কথা হলো নানা প্রসঙ্গ নিয়ে-

স্পেনে কবে থেকে এবং বর্তমানে কি কি করছেন?

-২০০৮ সালে স্পেনে এসেছি। বর্তমানে নিজের বিজনেস আছে এবং দুইটা স্কুলে শিক্ষকতা করছি। ভিষণ ভালো লাগে পড়াতে। বার্সালোনা বাংলা স্কুল এবং এখানকার পৌরসভা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্কুলে অনুবাদের সাইটটি আমি দেখছি।

এবার আসি প্রধান প্রসঙ্গে আপনার ভালো লাগা এবং ভালোবাসার জায়গা জুড়ে আছে সঙ্গীত অঙ্গনের বহুদিক সেই সম্পর্কে বলুন-

-যদি আমার গান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে বলবো আমি একদম ছোটবেলা থেকে গান শেখা শুরু করি। আমার খালারা সবাই গান করে , সেখান থেকেই আমার গানের প্রতি ভালোলাগা , ভালোবাসা। আমার মায়ের খুব শখ ছিল আমি যেন গান শিখি। সঙ্গীত জগতের আবহ ছিল আমার চারপাশজুড়ে সেখান থেকেই হৃদয়ে গহীনে গানের জন্য একটা ক্যানভাস তৈরি হয়েছে। ওস্তাদ প্রফুল্লু কুমার পোদ্দারের কাছে শুরুটা করি। মাদারিপুর শিল্পকলাতে গান শিখেছি, পরবর্তিতে ধিরে ধিরে সামনে যাওয়া।

সঙ্গীত জগতের প্রাপ্তি গুলো,,

-জীবনে অনেক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছি সেইসব জায়গায় নিজের মেধা- মননের ভিত্তিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি যেগুলো আমার সারাজীবনের স্মৃতি এবং ভালোবাসার খোরাক। মৌসুমী প্রতিযোগীতাগুলো হতো খুব চমৎকারভাবে। তাছাড়া থানা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে গিয়েছি। জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কার পেয়েছি রবীন্দ্রসঙ্গীতে। তাছাড়া উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আমার প্রথম শেখা এবং ভালো লাগা। এটিএন বাংলায় সেই সময় একটা প্রােগ্রাম হতো ‘নবীনবরণ’ নামে সেখানে ফোক গানে এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতে চ্যাম্পিয়ন এবং রানারআপ হয়েছি। বিটিভিতেও প্রোগ্রাম করেছি। দেশের মাটিতে গানের জগতটি ছিল আলোকময়।

সঙ্গীত জগতে নারীর ক্যারিয়ার কতটুকু টিকিয়ে রাখা যায় বলে আপনি মনে করেন-

-নারীদের ক্যারিয়ার বলতে, এখনতো নারীরা বিভিন্নভাবে নিজেদের ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করছে । আর সঙ্গীত যদি বলি , তাহলে হ্যাঁ এখনতো অনেকরকম অপশন আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যদি ভালো গান চর্চা করে তাহলে সঙ্গীতকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া সম্ভব । তার বেশকিছু প্রমান কিন্তু আছে যেমন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরাতো আছেই তার পাশাপাশি ন্যান্সি, কনা, কোনাল সহ আরও অনেকে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা বেশ ভালো করছে ।

 

জিনাত শফিক

প্রবাসে বিনোদনের অংশ হিসেবে সঙ্গীত তালিকাভুক্ত হতে পারে?

-এখানে বলতে, আমি যেখানে আছি সেখানকার কথা যদি বলি । এখানে আসলে মানুষ খুব যান্ত্রিক। সবাই খুব ব্যস্ত থাকে , তারপরও শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা একটু সময় করে নেই আমাদের বিনোদনের জন্য। সংস্কৃ্তির মূল্যায়ণতো অবশ্যই আছে । সেখানে গানকে বাদ দেয়া কোনভাবেই যাবে না।

গান নিয়ে পরিকল্পনা

-গান নিয়ে আসলে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই । যেহেতু গান ভালোবাসি, যতদিন বাঁচবো ভালো গানের সাথে থাকতে চাই , ভালো কিছু গান করে যেতে চাই । আমি দুটা হারানো দিনের গান কাভার করেছি যা এখনো রিলিজ হয়না (করোনার কারনে)
* ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
* আঙুর আঙুর চোখ
এরকম আরও কিছু ভালো গান দিয়ে একটা অ্যালবাম ও বের করার ইচ্ছা আছে ।

স্পেনের কোন কোন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত আছেন

-স্পেনে, আমি বার্সালোনায় থাকি। এখানকার মহিলা সমিতিসহ বেশকিছু সংগঠনের সাথে জড়িত আছি। এই সংগঠনগুলোর মাধ্যমে আমরা ১ লা বৈশাখসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ সে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর উৎযাপনসহ রবীন্দ্র জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী, পিঠা উৎসব, ফাল্গুন সহ নানারকম অনুষ্ঠান উৎযাপন করে থাকি, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। এবং এই অনুষ্ঠানগুলোতে আমাদের বাচ্চারাও অংশগ্রহণ করে থাকে ।

আপনার জীবনের ভালো এবং খারাপ মুহূর্ত কি ছিল, যেই অনুভূতিগুলো এখনো নাড়া দেয়-

-আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হচ্ছে, যখন আমি আমার প্রথম সন্তানের মুখ দেখি। তখন মনে হয়েছে যে নারী হচ্ছে আল্লাহপাকের নেয়ামত, যে পারে একটা নতুন জীবনের সৃষ্টি করতে।

আর আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহুর্ত ছিলো, যখন আমার বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর তখনি আমি শিখেছি পৃথিবীতে একা এসেছি, একাই যেতে হবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys