1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সোহেল খানের রাজনীতির আদ্যেপান্ত

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

সুরাইয়া নাজনীন

জন্ম থেকেই কিছু মানুষের ধ্যানজ্ঞান থাকে রাজনীতি নিয়ে। তখন নেশা হয়ে যায় পেশা। জীবনের মোড় ঘুরলেও রক্তে মিশে থাকা স্বপ্ন, ভালোলাগার বদলি হয় না। তেমনই একজন রাজনীতি প্রিয় মানুষ সোহেল খান। তিনি বেলজিয়ামে থাকছেন। প্রবাসী হয়েও নেতৃত্বের জায়গায় শক্ত অবস্থানটাই ধরে রেখেছেন। কথা হলো রাজনীতি জীবনের আদ্যেপান্ত নিয়ে। বিশেষকিছু স্মৃুতিচারণ করলেন আমাদের পাঠকদের জন্য-

 

 

রাজনীতির শুরু
রাজনীতির শুরু নিয়ে সোহেল খান বলেন, আমার রাজনীতি জীবনের শুরু সেই স্কুল জীবন থেকেই। ক্লাস নাইন থেকে বলতে গেলে আমি এই পথে পদার্পন করি। তখন স্কুল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছিলাম। স্কুল শেষ করে চট্টগ্রাম নিজামপুর কলেজে ভর্তি হই। কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ডিগ্রী পড়াকালীন সময়ে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করি। পরে আমাকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। রাজনীতি অনেকেই করেন কিন্তু টিকে থাকেন কজন? আবার টিকে থাকলেও দায়িত্বের জায়গায় শক্তিমান থাকতে পারেন না। ভালো কাজের জন্য তিনি মিররসরাই হাদিপকিরহাট রাসেল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ৩ বছর।

 

 

বিদেশ যাত্রা
রাজনীতি এবং দেশের মায়া বুকে নিয়ে তিনি পাড়ি জমান ইউরোপ। তবে রাজনীতি থেকে দুরে সরে গেছেন কিংবা অন্যদিকে শতভাগ মন দিয়েছেন তা নয়। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি করেন। দলে সময় দেন ব্যবসার সময় থেকে ভাগ করে। সোহেল খান বেলজিয়ামে যান ১৯৯৪ সালে। সেখানে বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সঙ্গে যুক্ত হন। বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ তখন বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং পিএইচডি ডিগ্রী অধ্যয়ন করছিলেন। তিনি নিজে হাতে সোহেল খানকে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন।

 

রাজনীতির জন্য ত্যাগ স্বীকার
সোহেল খান বলেন, জীবনে যে কাজই করি, তার জন্য আমাকে নিবেদিত হতেই হবে। মনের শান্তির জন্য আমি সবসময় রাজনীতিকে আগে প্রধান্য দিয়েছি। চাইলে চাকরিও করতে পারতাম কিন্তু বিদেশের মাটিতে চাকরি করে রাজনীতি করা যায় না। শুধু সেই জন্যই আমি নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি। এখন নিজেন মতো করে ব্যবসায়ে সময় দিই এবং ইচ্ছেমতো রাজনীতিতেও সময় দেয়া যায়। যখন থেকে রাজনীতির হাতে খড়ি, তখন থেকেই দীর্ঘদিন বিরোধী দলে ছিলাম একাধারে, কিন্তু বয়স ছোট হলেও একটি বারের জন্য মনে হয়নি রাজনীতি ছেড়ে দেব। এখন দলের কেন্দ্রীয় সময়। এসময় উন্নয়নের নানা বাকবদল হচ্ছে নানা সেক্টরে। বিদেশে থেকে যতটুকু কাজ করা যায় করছি। দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

 

বেলজিয়ামে বাংলাদেশী কমিউনিটির কার্যক্রম
বেলজিয়ামে বাংলাদেশী থাকে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার। এখানে বাংলাদেশীদের নিয়ে কোনরকম নেতিবাচক ধারণা নেই। আমরা এখানে জাতীয় উৎসবগুলো সবসময় পালন করি। সবাই নানা সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করে। এবার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের ব্যাপক আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও মহামারি করোনার জন্য তা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা ভার্চুয়াল সেমিনার করেছি কয়েক দেশের নেতাকর্মীদের নিয়ে। সেখানে বাংলাদেশর ইতিহাস, জাতির পিতার জীবনের নানা সোনালী অধ্যায় উঠে এসেছে।

 

 

স্মরণীয় ঘটনা
জীবনে অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে, তারমধ্যে সবসময় আমাকে যে বিষয়টি নাড়া দেয় তা হলো, আমি তখন নিজামপুর কলেজে অধ্যয়নরত। ১৯৯১ সাল, সেসময় আওয়ামীলীগের একটা সম্মেলন হচ্ছিল, আমি দায়িত্বরত ছিলাম। মোটরসাইকেলে ফেরার পথে জামায়াতের লোকেরা আমাকে ঘায়েল করে এবং হত্যা চেষ্টা করে। আমাকে মেরে ড্রেনে ফেলে দেয়, ভেবেছিল আমি মরে গেছি কিন্তু আমি সেন্সলেস হয়ে যায়। তারপর বাজারের লোকজন আমাকে দেখতে পেয়ে হসপিটালে ভর্তি করে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আমি ৩ মাস চিকিৎসাধীন ছিলাম। তখন আমার নেত্রী আমাকে দেখতে আসে। আমার পরিবারকে সান্তনা দেয়। আমার চিকিৎসার সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নেয়। আমি সেইবারের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়। তবে আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঋণ কোনদিন ভোলার নয়। একজন সাধারণ কর্মীর জন্য উনার যে দায়িত্ববোধ, এটা আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় শিক্ষা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys