1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট সদর ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন মানব কল্যাণ এসোসিয়েশন ফ্রান্সের কমিটি গঠন ফ্রান্সে কুলাউড়া উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বনভোজন ও মিলন মেলা সম্পন্ন সাংবাদিকদের সুরক্ষার দাবিতে ইউরো-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের ৭ দফা প্রস্তাবনা ফ্রান্সে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে কানাডা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহিম আহমেদকে সংবর্ধনা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সে ফ্রান্সে শিশুতোষ ‘ইপিএস কমিউনিটি মেধা অন্বেষণ’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার আলো ছড়াল বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ প্যারিসে ২৫তম ট্রপিক্যাল কার্নিভাল উদযাপন ফ্রান্সের চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য দরকারি তথ্য সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে

যদি মা-বাবা অমুসলিম হন

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আমার মা শপথ করেন আমি মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করা পর্যন্ত তিনি পানাহার করবেন না। আল্লাহ তখন অবতীর্ণ করেন, ‘যদি তারা (মা-বাবা) বাধ্য করে আমার সঙ্গে শিরক করতে যে ব্যাপারে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে অনুসরণ কোরো না। তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো।…’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৪)

আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘কোনো মা-বাবা সন্তানকে আল্লাহর অবাধ্য হতে বললে সে তাদের আনুগত্য করবে না। তবে তাদের এই নির্দেশ পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়।’ ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘অমুসলিম মা-বাবার যে নির্দেশ আল্লাহর আনুগত্যের পথে প্রতিবন্ধক নয় তা অনুসরণ করাও সন্তানের জন্য আবশ্যক।’

আলোচ্য আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, মা-বাবা অমুসলিম হলেও সন্তান তাদের সঙ্গে সদাচরণ করবে। আল্লাহর অবাধ্যতার প্রশ্ন না থাকলে তাদের নির্দেশ মান্য করবে। ঈমান ও ইসলামের হুমকি না থাকলে অমুসলিম মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আসমা বিনতে আবি বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর যুগে আমার মা রাগিবা (অমুসলিম) আমার কাছে এলেন। আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তার সঙ্গে কি আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৭৮)

এই ক্ষেত্রে অমুসলিম ও মুরতাদ (ইসলামচ্যুত) মা-বাবার মধ্যে পার্থক্য আছে। শরিয়তে মা-বাবা যদি মুসলিম থেকে মুরতাদ হয়ে যায় তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘কেউ ইসলাম থেকে বিচ্যুত হলে তাকে তওবার আহ্বান করা হবে। সে তওবা করলে তার সঙ্গে মুসলমানের মতো আচরণ করা হবে। আর ইসলামের পথে ফিরে না এলে ইসলামী দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হবে।… এমন ব্যক্তি আত্মীয়তা, আনুগত্য ও অনুগ্রহের অধিকার হারায়। তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে তাদের সুপথে আনার উদ্দেশ্যে সম্পর্ক রাখা যাবে।’ (কিতাবুল উম : ১/২৫৭)

মা-বাবা অমুসলিম বা মুরতাদ হলেও তাদের গালমন্দ করা যাবে না। সমাজে তাদের অসম্মান করা যাবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহর একটি হলো মা-বাবাকে গালি দেওয়া।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯০) অমুসলিম মা-বাবার জন্য মুসলিম সন্তানের প্রধান করণীয় হলো, তাদের ঈমান ও সুপথ প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা। সদাচরণের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য তাদের সামনে তুলে ধরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys