নিউজ ডেস্ক: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ। বছর খানেকের বেশি সময় হলো শেষ হয়েছে চাকরির মেয়াদ। দূরে আছেন ব্যস্ত জীবন থেকে। এর মধ্যেই হঠাৎ নিজের ফেসবুকে চাকরি চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
গত রোববার ফেসবুক পোস্টে নাসির উদ্দিন লিখেছেন, ‘প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন শুভাকাঙ্ক্ষী। আজ এক বছর দুই মাস ঘরে বসা। এল পি আর শেষ। সংসার ও নিজকে কর্মক্ষম রাখতে কিছু করা প্রয়োজন। নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিনি। হালাল ও হারামের সংমিশ্রণে এ জীবন।
মেডিকেল ও নন মেডিকেল যেকোনো সেক্টরে কোনো নিবেদিত ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান আমাকে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে চাকরির সুযোগ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।’
এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও নাসির উদ্দিন আহমেদকে পাওয়া যায়নি। তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন অনেকে।
চাকরি চেয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম বলেন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমদের সময়কালে ময়মনসিংহ মেডিকেলে আমূল পরিবর্তন এসেছিল। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন, করেছিলেন সৌন্দর্যবর্ধন। তার সময়ে বিনামূল্যে রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেয়েছে। সরকার কিংবা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে এমন একজন কর্মক্ষম ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে।
২০১৫ সালের ১ নভেম্বর মমেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন নাসির উদ্দিন আহমদ। এ সময় হাসপাতালের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। এতে নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগীশূন্য হয়ে পড়ায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় মালিকরা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে তার বদলির আদেশ আসে। বদলির আদেশের খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ময়মনসিংহবাসী। বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
সাধারণ মানুষের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ১৬ আগস্ট বদলি প্রত্যাহার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আবারও স্বপদে বহাল থাকেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন। পরে ২০২০ সালে অবসরে যান তিনি।